কয়েক মাস থেকে একের পর এক ই-কমার্স নিয়ে বিতর্কিত ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। এমন স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ২৪টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলির ব্যাংকে কত টাকা আছে, কত টাকা জম হচ্ছে এবং কারা কারা কত পরিমাণের অর্থ উত্তোলন করছে এসব ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চেয়ে বিএফআইইউ ২৪টি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের হিসাব তলব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএফআইইউর কর্মকর্তারা।
হিসাব জানতে চাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় রয়েছে, দারাজ, প্রিয়শপ, অ্যামস বিডি, ইনফিনিটি মার্কেটিং, অ্যানেক্স ওয়ার্ল্ড, ওয়ালমার্ট, ব্রাইট ক্যাশ, আকাশ নীল, গেজেট মার্ট ডটকম, বাড়ি দোকান ডটকম, টিকটিকি, শপআপ ই লোন, স্বাধীন, শ্রেষ্ঠ ডটকম, আলিফ ওয়ার্ল্ড, বাংলাদেশ ডিল, আস্থার প্রতীক, ইশপ ইন্ডিয়া, বিডি লাইক, সানটুন, চলন্তিকা, সুপম প্রোডাক্ট ও নিউ নাভানা।
সম্প্রতি অস্বাভাবিক ছাড়ে পণ্য বিক্রি করে আলোচনায় আসে বেশকিছু স্বনামধন্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এবং সময়মতো পণ্য ডেলিভারি না দেয়ার অভিযোগ উঠে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এখন পর্যন্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে চালানো অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে, ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল; তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন; ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন; এসপিসি ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আল আমীন; তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শারমীন আক্তার; কিউকমের প্রধান নির্বাহী রিপন মিয়া ও রিং আইডির পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইভ্যালির বিরুদ্ধে তিনটি, রিং আইডির বিরুদ্ধে দুটি, ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে নয়টি, ধামাকার বিরুদ্ধে তিনটি, ২৪ টিকিটের বিরুদ্ধে পাঁচটি, সহজ লাইফের বিরুদ্ধে দুটি, এসপিসি ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের বিরুদ্ধে চারটি, সিরাজগঞ্জ শপের বিরুদ্ধে একটি, কিউকমের বিরুদ্ধে তিনটি, নিরাপদ শপের বিরুদ্ধে একটি, র্যাপিড ক্যাশের বিরুদ্ধে একটি, থলে ও ইউকম ডটকমের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন