বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পাকিস্তানে নতুন আইনে ধর্ষকদের খোজা করার বিধান রাখা হয়নি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

শরীরে রাসায়নিক প্রয়োগ করে ধর্ষকদের খোজা করে দেবার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। ধর্ষকদের দ্রæত সাজা দেবার জন্য পাকিস্তানের সংসদে একটি নতুন আইন পাশ করা হয়।
এই আইনে বলা হয়েছে, ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের দ্রæত বিচারের জন্য পাকিস্তান সরকার দেশজুড়ে বিশেষ আদালত স্থাপন করবে। চারমাসের মধ্যে এসব বিচার শেষ করার টার্গেট থাকবে। গণ-ধর্ষণের দায়ে যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হবে। পাকিস্তানে সা¤প্রতিক সময়ে নারী ও শিশু ধর্ষণ বেড়ে যাবার প্রেক্ষাপটে এই কঠোর আইন পাশ করা হয়েছে। তবে শরীরে রাসায়নিক প্রয়োগ করে খোজা করে দেবার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছিল, সেটি শেষ মুহ‚র্তে বাতিল করা হয়। গত ডিসেম্বর থেকে দেশটির প্রেসিডেন্টের এক অধ্যাদেশ-এর বলে এই শাস্তির বিধান করা হয়েছিল। কিন্তু এনিয়ে আইন প্রণয়নের জন্য সংসদে উত্থাপন করা হলে সেটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। গত বছর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, শরীরে রাসায়নিক প্রয়োগের মাধ্যমে ধর্ষকদের খোজা করে দেবার আইন প্রণয়ন করতে চান তিনি।
বিবিসি উর্দু ভাষা সার্ভিসের সাংবাদিক জুবায়ের আজম বলেছেন, পাকিস্তানের ইসলামিক মতাদর্শিক কাউন্সিল মত দিয়েছে রাসায়নিক প্রয়োগের মাধ্যমে ধর্ষকদের খোজা করার বিষয়টি ইসলাম-সম্মত নয়। যদিও এই কাউন্সিলের মতামত মানতে দেশটির পার্লামেন্ট বাধ্য নয়, কিন্তু ধর্ষকদের খোঁজ করে দেবার বিষয়টি বাদ দেবার ক্ষেত্রে তাদের মতামত হয়তো প্রভাব ফেলেছে। পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আইন বিষয়ক সচিব মালিকা বুখারি বিবিসি উর্দু বিভাগকে বলেন, ইসলামিক মতাদর্শিক কাউন্সিলের আপত্তি পর্যালোচনা করে বিষয়টি বাদ দেয়া হয়েছে। মালিকা বুখারি বলেন, ধর্ষণের ক্ষেত্রে বিতর্কিত টু-ফিঙ্গার টেস্টের বিধান বাতিল করা হয়েছে নতুন আইনে। তবে পাকিস্তানের বিভিন্ন হাসপাতালে অ্যান্টি-রেইপ ক্রাইসিস সেল স্থাপন করা হবে। সেখানে নারীদের সম্মান রক্ষা করে শারীরিক পরীক্ষা এবং আইনগত সহায়তা দেয়া হবে বলে মালিকা বুখারি উল্লেখ করেন। এছাড়া নতুন আইনে ধর্ষণের শাস্তি বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। রাসায়নিক প্রয়োগের মাধ্যমে খোজা করে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাও আপত্তি তুলেছিল।
ধর্ষকদের এ ধরণের সাজার পরিবর্তে ধর্ষণের কারণ খুঁজে বের করার আহবান জানিয়েছিল মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, পোল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, চেক রিপাবলিক এবং আমেরিকার কিছু রাজ্যে এ বিধান রয়েছে। ওয়ার অ্যাগেইনস্ট রেইপ নামের একটি পাকিস্তানী বেসরকারি সংস্থাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স বলছে, দেশটিতে যারা ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হয় তাদের মধ্যে তিন শতাংশেরও আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়। সূত্র : বিবিসি বাংলা।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন