শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চট্টগ্রাম বন্দরে কম্বলের কাপড় ঘোষণা এলো প্রসাধনীসহ হরেক পণ্য

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০২১, ১:০৫ পিএম

শুল্কমুক্ত সুবিধার চালানে আসা ব্যাগেজ প্রকৃতির পণ্যচালান আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এর মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে বলে

শনিবার দুপুরে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কর্মকর্তারা জানান, পাবনা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান- এমজিএল কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (ঠিকানা: এসএফবি-২, প্লট সং-৬৪-৬৯, ইশ্বরদী ইপিজেড, পাকশী, পাবনা, BIN: 001954825-1105) মরিশাস থেকে তৈরী পোশাক কারখানার জন্য কম্বল তৈরির ফেব্রিকস ঘোষণা দিয়ে ২৪০ প্যাকেজে ৮ হাজার ৪০০ কেজি এক কন্টেইনার পণ্য আমদানি করে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মরিশাসের পোর্ট লুইস বন্দর থেকে কোটা নাজার জাহাজ যোগে সংশ্লিষ্ট কন্টেইনারটি (DFSU6691599) চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। গত ১৭ জুলাই পণ্য খালাসের লক্ষ্যে আমাদানিকারকের মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্ট- প্রত্যয় ইন্টারন্যাশনাল কাগজ পত্র দাখিল করে।

পরবর্তীতে আলোচ্য পণ্যচালানের বিষয়ে গোপন সংবাদ থাকায় কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক পণ্যচালানটি লক করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের জেআর কন্টেইনার ইয়ার্ডে রক্ষিত আলোচ্য পণ্যবাহী কন্টেইনারটি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম কতৃক ফোর্স কিপ-ডাউন করে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পণ্যচালানটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। কায়িক পরীক্ষাকালে আমদানিকারকের ঘোষণা মোতাবেক কম্বলের কাপড়ের (BLANKET FABRICS) পরিবর্তে কম্বল, জায়নামাজ, বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্যদ্রব্যাদিসহ ব্যাগেজ প্রকৃতির প্রায় ৭৫ ধরণের পণ্য পাওয়া যায়। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে কম্বল , জায়নামাজ, প্রসাধনী সামগ্রী, বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য, টেবিলওয়্যার ও কিচেনওয়্যার সামগ্রী, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ইত্যাদি পাওয়া যায়।

কায়িক পরীক্ষাকালে পণ্যবাহী কন্টেইনার থেকে সব পণ্য বের করে আনার পর দেখা যায়, এতে ২৩৮ টি প্যাকেজের প্রায় প্রতিটি প্যাকেজে ইনার প্যাকেজের গায়ে প্রেরক ও প্রাপকের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর সম্বলিত কাপড় সেলাই করা অবস্থায় আছে। কায়িক পরীক্ষা শেষে দেখা যায় নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে এতে প্রায় ১৫৫১ টি কম্বল (৪৫৫৭ কেজি), ৪৮৩ টি জায়নামাজ ( ৪৭৬ কেজি), ১২০ কেজি বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনী, ২০০ কেজি বিভিন্ন প্রকার ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীসহ মোট ৭৫৭০ কেজি পণ্য পাওয়া যায়। কাস্টম হাউসের কঠোর নজরদারি এবং কর্মকর্তাদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় পূর্বের ন্যায় এই অপচেষ্টাও নস্যাৎ করে দেয়া সম্ভব হয়েছে। আমদানি কারকের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন