আধুনিক দৃষ্টিনন্দন ও বসবাসযোগ্য মহানগর হিসেবে গড় তুলতে ২০ বছর মেয়াদি অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রণয়নের কাজ প্রায় চূড়ান্ত করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ড্যাপ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে জাতীয় সেমিনার গতকাল শেষ করা হয়েছে। ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (২০১০-১৫) এর রিভিউ কার্যক্রম এবং ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (২০১৬-২০৩৫) চূড়ান্তকরণ করা হয়। তবে আগের আয়তনের চেয়ে ঢাকার সাথে যুক্ত করা হচ্ছে ঢাকার পাশের তিন জেলাÑ নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও কেরানীগঞ্জের কিছু এলাকা। যা যুক্ত হলে ঢাকার নতুন আয়তন হবে ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার।
২০১১-এর বিবিএস সার্ভে অনুযায়ী বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছেন প্রায় ১৫.৫ মিলিয়ন মানুষ। ২০৩৫ নাগাদ যা পৌঁছাতে পারে প্রায় ২৬ মিলিয়নে। এবার নগরের পরিধি বৃদ্ধির প্রস্তাব রাখা হয়েছে। মানুষের হেঁটে যাতায়াতের সুযোগ, নৌপথকে কাজে লাগানোর সুযোগ প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি বলেছেন, আধুনিক দৃষ্টিনন্দন ও বসবাসযোগ্য মহানগর হিসেবে গড় তুলতে ড্যাপ প্রণয়নের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করবে সরকার। রাজউকের বিরুদ্ধে প্রতিদিন আমার কাছে শত শত অভিযোগ আসে। জনগন সেবা পাচ্ছে না। তাই গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও চেয়ারম্যানকে বলব জনগণের সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করেন। অন্যদিকে তবে ড্যাপ সফল করতে হলে রাজউক কী রেগুলেটরি বডি না ইমপ্লিমেন্টরি বডি সেটি নিশ্চিত করা অতি জরুরি বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভি।
গতকাল শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে রাজউক আয়োজিত ‘ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যাল (ড্যাপ) নিয়ে আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। ড্যাপের ভূমি ব্যবহারের শ্রেণি পরিবর্তন সংক্রান্ত গঠিত কারিগরি কমিটির সদস্য রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) এর পরিকল্পনায় ঢাকার সাথে যুক্ত হচ্ছে ঢাকার পাশের তিন জেলা- নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও কেরানীগঞ্জের কিছু এলাকা। নতুন আয়তন ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার হবে ঢাকা। ড্যাপের পরিকল্পনায় বলা হয়, ২০১১-এর বিবিএস সার্ভে অনুযায়ী বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছেন প্রায় ১৫.৫ মিলিয়ন মানুষ। ২০৩৫ নাগাদ যা পৌঁছাতে পারে প্রায় ২৬ মিলিয়নে। পরিকল্পনায় যুক্ত রাজউকের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার সীমানা ও ব্যাপ্তি অনুযায়ী ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ এই তিনটি সিটি করপোরেশন ও পাঁচটি পৌরসভা যুক্ত হচ্ছে। সেগুলো হলোÑ সাভার, তারাবো, কালীগঞ্জ (আংশিক), সোনারগাঁও (আংশিক) এবং কাঞ্চন (আংশিক)। এতে যুক্ত হবে তিন জেলার ৬৯টি ইউনিয়ন পরিষদও। ড্যাপে উত্তরে সমগ্র গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা, দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা যা ধলেশ্বরী নদী দ্বারা বেষ্টিত, পশ্চিমে সাভারের বংশী নদী এবং পূর্বে কালীগঞ্জ-রূপগঞ্জ যা শীতলক্ষ্যা নদী এবং দক্ষিণপশ্চিমে কেরানীগঞ্জ দ্বারা বেষ্টিত রাখা হয়েছে। ড্যাপে ভূমি ব্যবহার প্রস্তাবনায় ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে নগর ধরা হয়েছে ৬০ শতাংশ এলাকাকে। এতে আবাসিক এলাকা ৪.৩৬ শতাংশ, মিশ্র ব্যবহার এলাকা (আবাসিক প্রধান) ৩২.৫০ শতাংশ, মিশ্র ব্যবহার এলাকা (আবাসিক-বাণিজ্যিক) ০.৪৫ শতাংশ, বাণিজ্যিক এলাকা ০.১৬ শতাংশ, মিশ্র ব্যবহার এলাকা (বাণিজ্যিক প্রধান) ১.৪৩ শতাংশ, মিশ্র ব্যবহার এলাকা (শিল্প প্রধান) ৭.৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক এলাকা ৪.০১ শতাংশ, ভারী শিল্প এলাকা ১.৬৩ শতাংশ, পরিবহন যোগাযোগ (বিদ্যমান) ৫.২৫ শতাংশ, পরিবহন যোগাযোগ (প্রস্তাবিত) ২.৩৫ শতাংশ, কৃষি এলাকা ২৯.২২ শতাংশ, জলাশয় ৭.৯৫ শতাংশ, বনাঞ্চল ১.৪১ শতাংশ, উন্মুক্ত স্থান ১.৩৮ শতাংশ রাখা হয়েছে।
ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা ২০৩৫-এ ঢাকা কোন পর্যায়ে যেতে পারে সেটা বিবেচনা করে প্ল্যান সাজিয়েছি। কোনো এলাকায় যেন সুযোগ-সুবিধার তুলনায় অধিক জনবসতি তৈরি না হয় সেজন্য আমাদের পরিকল্পনায় রাস্তার প্রশস্তের আলোকে ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়েছে। মানুষের হেঁটে যাতায়াতের সুযোগ, নৌপথকে কাজে লাগানোর সুযোগকে আমরা বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়ে উন্নয়নকে এবারের ড্যাপে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক আয়োজিত খসড়া বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা-ড্যাপ (২০১৬-২০৩৫) চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে জাতীয় সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে ড্যাপ রিভিউ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানী ঢাকাকে আর কোনোভাবেই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে দেয়া হবে না। মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরকে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অবাসযোগ্য নগরীতে রূপান্তর করতে পারি না। সকল আর্থ-সামাজিক শ্রেণি পেশার মানুষের প্রয়োজন, জীবনযাত্রার উন্নয়ন ও মৌলিক বিষয়গুলো এবারের ড্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, পেশাজীবী, পরিবেশবাদী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরসহ সকল পক্ষের সাথে মতবিনিময় করে তাদের পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা তৈরির সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উচ্চপর্যায়ের নীতিমালার পরিকল্পনাগুলো বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। ঢাকাকে আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন, বসবাসযোগ্য করতে নানা উদ্যোগের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব শহর তৈরির লক্ষ্যে পরিকল্পনায় অনেকগুলো বৃহত্তম, পানিকেন্দ্রিক ও ইকো পার্ক, খেলার মাঠ বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ এবং রিং রোডের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
ড্যাপের আহ্বায়ক জানান, আমরা কেউ সুউচ্চ ভবনের বিপক্ষে নই। এমনকি আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজেও উঁচু ভবনের পক্ষে। কিন্তু এটি করার জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা বিশেষ করে ইউটিলিটি সার্ভিস, রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, খেলার মাঠ ও বিনোদন কেন্দ্রসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করে করতে হবে। পাঁচ-সাত কাঠা জমির ওপর উঁচু ভবন এবং যেগুলো নিয়ে অসামঞ্জস্য রয়েছে সেগুলো নিয়ে রিভিউ করা হবে। আর এ পরিমাণ জায়গাতে কতটুকু ভবন করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। আমরা শহরটাকে বসবাসের অযোগ্য বানাতে পারি না।
জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনা (ডিএমডিপি) প্রণীত হয় ১৯৯৩-৯৫ সালে। এতে কাঠামোগত ও নগরায়িত এলাকার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ড্যাপ প্রণয়ন করে সেই অনুযায়ী ঢাকা মহানগরের সব উন্নয়নকাজ পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা বার বার পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু সঠিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়নি। পরে নতুন করে পরিকল্পনা অনুযায়ী এলাকার মিশ্র ব্যবহারকে প্রাধান্য দিয়ে সিএস ও আরএস জরিপ অনুযায়ী খাল, নদীনালা উদ্ধার এবং সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে আমূল উন্নয়ন হওয়া এলাকা থেকে ভেটারমেন্ট ফি আদায়সহ জোনভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো নতুন ড্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে রাজধানী ঢাকা-উত্তরে গাজীপুর সিটি- দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ সিটির এলাকার যা ধলেশ্বরী নদীর দ্বারা বেষ্টিত এবং পশ্চিমে সাভার এবং পূর্ব কালীগঞ্জ-রুপগঞ্জ এবং দক্ষিণ পশ্চিমে কেরানীগঞ্জ পরিকল্পিত, বাসযোগ্য ও আধুনিক নগরী হবে বলে জানিয়েছে রাজউক।
রাজউকের প্রকল্প সার-সংক্ষেপের বলা হয়, চলতি বছরের ডিসেম্বর মধ্যে নতুন ড্যাপ চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে। এজন্য দু’টি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি ড্যাপ প্রণয়নে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণের জন্য তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। পাশাপাশি প্রকল্পের আওতাধীন এলাকার সংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, পরিবেশবিদ, এনজিও, সুশীল সমাজসহ সকলের মতামত ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে ড্যাপ প্রণয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। এজন্য এ যাবত ১৮০টি অংশগ্রহণমূলক সভা, ২৬০০টি লিখিত মতামত গ্রহণ এবং এক হাজার ৩০টি প্রশ্নমালা দিয়ে জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। এরপর চূড়ান্ত ড্যাপের গেজেট প্রকাশ করা হবে। এর আগেও একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে রাজউকের আওতাভুক্ত ১৫২৮ বর্গ কিলোমিটার। বিসিএস অনুযায়ী ২০১১ সালের জনসংখ্যা : প্রায় ১৫.৫ মিনিয়ন। ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রক্ষেপিত জনসংখ্যা: প্রায় ২৬ মিলিয়ন।
প্রতিটি এলাকায় আবাসিকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক এলাকারও চাহিদা থাকে। এজন্য ড্যাপের মহা-পরিকল্পনায় কোনও এলাকাকে শুধু আবাসিক বা বাণিজ্যিক হিসেবে চিহ্নিত করা হবে না। এজন্য এলাকাভিত্তিক মিশ্র ব্যবহারকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় মোট ১৩২৭ কিলোমিটার নদী ও খাল রয়েছে। নদীগুলোর প্রশস্ততা ও নাব্যতা বৃদ্ধি করা হবে। পরিকল্পনা প্রায় ৫৬৬ কিলোমিটার নৌপথকে শ্রেণি অনুসারে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় থাকা কালভার্টগুলো ব্রিজ এবং নৌচলাচলের উপযোগী ব্রিজ করা হবে। সদরঘাট এবং নারায়ণগঞ্জের নৌ-টামিনালকে মাল্টিমোড়াল টামিনাল রূপান্তর করা হবে এবং মদনগঞ্জে একটি নতুন মাল্টিমোডাল টার্মিনাল করা হবে।
ঢাকা শহরে প্রয়োজনীয় বাস ডিপো, টাক টার্মিনাল এবং এমআরটি ডিপোটর জায়গা নির্ধারণের জন্য ঢাকা রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে বেশ কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তের আবাসনের বিধান যুক্ত করে ৫৪টি এলাকার প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ভিত্তিক এলাকা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রস্তবনায় ৬২৭টি বিদ্যালয় এবং ২৮৭টি প্রস্তবানায় রয়েছে। অঞ্চলভিত্তিক পার্ক নির্মাণের প্রস্তবনায় ৫টি বৃহত আঞ্চলিক পার্ক, ৪৯টি পানিকেন্দ্রীক পার্ক, ৮টি ইকো পার্ক এবং ৯টি অন্যান্য পার্ক। নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যবস্থাপনা হাঁটার পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি বলেন, রাজউকের বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ। তাদের কারণে ৫০ লাখ মানুষের প্ল্যান্ট আটকে আছে। অনেক কাজ আবার পাস হওয়ার মতো নয় কিন্তু পাস হয়ে যায়। এজন্য একে অপরের মধ্যে সমন্বয় অতি জরুরি। এ জন্য দ্রুত ড্যাপের প্ল্যান পাস করার দরকার।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভি বলেছেন, ড্যাপ সফল করতে হলে রাজউক কী রেগুলেটরি বডি না ইপ্লিমেন্টরি বড়ি সেটি নিশ্চিত করা অতি জরুরি। মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মন্ত্রী ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ বাস্তবায়নের আগে ড্যাপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রাজউক এর অবস্থান নিশ্চিত করুন। আইভি বলেন, নগরীর দুর্ভোগের জবাব দিতে হয় জনপ্রতিনিধিকে। তাই পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তাবায়নে তাদের প্রাধান্য নিশ্চিত করা অতি জরুরি। এজন্য সিটি ও পৌর মেয়রদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের মতকে প্রাধান্য দিতে হবে। আপনারা রাজউকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সক্ষমতা বাড়াতে বলছেন, আমি বলতে চাই তাদের সক্ষমতার চেয়ে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। আমি বলবো নগর প্রশাসনের সক্ষমতা বাড়িয়ে সেখানে রাজউককে যুক্ত করা উচিত। নদীর পাশে শিল্পজোন দেয়ায় সমালোচনা করে নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র বলেন, নদীর পাড়ে শিল্প কারখানা দিলে নদী দখল ও দূষণ হবেই। তাই আমি নদীর পাশে শিল্প কারখানা দেয়ার বিরোধী।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সালমান এফ রহমান, সেলিনা হায়াৎ আইভি, নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, সাবেক সচিব ড. সুলতান মাহমুদ, স্থপতি ইকবাল হাবিব, খন্দকার রাকিবুর রহমান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন