শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী খুন ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সম্পূরক এজাহার গ্রহণে এসপির কাছে আবেদন

প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের ইস্পাহানী বাজার এলাকায় ছাত্রলীগ নেতারা বাড়ি থেকে ডেকে নেয়ার পরেই ছুরিকাঘাতে নিহত হন ব্যবসায়ী রিপন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাদের আসামি করে সম্পূরক এজাহার গ্রহণ করতে পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন নিহতের ভাই মামলার বাদি মাসুদ রানা। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মঈনুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আবেদনটি দাখিল করে নিহতের পরিবার।
সম্পূরক এজাহারে নিহতের ভাই মাসুদ রানা উল্লেখ করেন, গত ৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিপনকে বাসা থেকে মোবাইলে কল করে ডেকে নেয় অহিদুজ্জামান (বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী), নাজমুল, আমজাদ, মোমেন ও হুমায়নসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন। যাওয়ার সময়ে রিপন বিষয়টি তার স্ত্রীকে বলে যায়। রিপন ধামগড়স্থিত রূপায়ন মসজিদের সামনের রাস্তায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা উপরেল্লিখিত আসামিরাসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জন তার পথরোধ করে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি লাথি মেরে নিলা ফুলা জখম করে। একপর্যায়ে অহিদুজ্জামান ও হুমায়ন কবির রিপনকে ছুরি দ্বারা ছুরিকাঘাত করে। পরে রিপনের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের এগিয়ে এসে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে মদনপুর ইশাখা হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মাসুদ রানা এজাহারে আরো উল্লেখ করেন, আমি ও আমার আত্মীয় স্বজন রিপনের চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকাকালীন পরদিন ৯ অক্টোবর আসামি মোমেন আমাকে বন্দর থানায় ডেকে নেয় এবং আমাকে এজাহারটি পড়ার ও জানার সুযোগ না দিয়ে ভয়ভীতির মাধ্যমে সাক্ষর দিতে বাধ্য করে।
এদিকে গত ১৬ অক্টোবর বিকেলে সম্পূরক এজাহারটিসহ নিহতের স্বজনরা বন্দর থানায় গেলেও সেটা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় পুলিশ।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতাদের বাঁচাতে নিহত রিপনের পরিবারকে ঘটনাটি মীমাংসা করতে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। দেয়া হয়েছে অর্থের প্রলোভনও। এছাড়া ঘটনাটি ভিন্নদিকে নিতে কিছু সংখ্যক গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে ভিন্ন ধরণেরও সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। এ বিষয়ে নিহতের শাশুড়ি হাজেরা বেগম জানান, মিডিয়ার কাছে প্রকৃত চিত্রটি তুলে ধরার পর থেকেই আমাদেরকে ম্যানেজ করার জন্য নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। মীমাংসার জন্য অর্থের প্রলোভনও দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা তাতে রাজী হইনি। এ বিষয়ে বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ও নাজিমউদ্দিন ভূঁইয়া ডিগ্রি কলেজের বিবিএস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী অহিদুজ্জামান জানান, এ ধরণের অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর। আমাকে ও রিপনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই হামলাটি চালানো হয়েছিল। ওইসময় আমি ও নাজমুলও আহত হয়েছিলাম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন