পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ সোমবার শেষ হয়েছে। এবার পালা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ মাঠে গড়াবার। ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টেস্ট। ঢাকায় দ্বিতীয় ও শেষ টেষ্ট শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর থেকে। এই ম্যাচ শেষ হতে না হতেই নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। এই সফরে কিউইদের বিপক্ষে দু’টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হলো নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি টিভি ব্লাকআউটের ঝুঁকিতে রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের কোনো সম্প্রচারক মিডিয়া স্বত্ব কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এর ফলে সিরিজটি টিভিতে দেখা যাবে কিনা, তা কেউ বলতে পারছেন না। অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে টিভিতে নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ দেখা নিয়ে।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সম্প্রচারক মিডিয়া স্বত্ব গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের অবস্থান পরিবর্তন না হলে বাংলাদেশি সমর্থকরা টিভিতে খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান পারফরম্যান্স প্রভাব ফেলেছে এই সিরিজে। এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সে দর্শকদের আগ্রহ কম থাকবে-এমন বিবেচনা করেই সম্প্রচার করতে চাইছে না কেউই। বাংলাদেশের স্পোর্টস মার্কেটিং কোম্পানি টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিং ছয় বছরের জন্য নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সম্প্রচার স্বত্ব কিনে নিয়েছে। সিরিজটি সম্প্রচার না হলে বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে তারা। কেননা টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিং দেশে টিভি স্বত্ব বিক্রি করতে না পারলেও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটকে অর্থ দিতেই হবে।
এ প্রসঙ্গে টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিংয়ের চেয়ারম্যান মইনুল হক চৌধুরী গতকাল বলেন,‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের ছয় বছরের ব্রডকাস্ট স্বত্ব আমাদের কেনা। কিন্তু জানুয়ারিতে বাংলাদেশের দু’টি টেস্ট ম্যাচের সম্প্রচার স্বত্ব নিতে এখনও কেউ আগ্রহ দেখায়নি। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো বিড আসেনি। আমরা চেষ্টা করছি। সিরিজটি শেষ পর্যন্ত অবিক্রিত থাকতে পারে বলে শঙ্কায় আছি।’
সিরিজ নিয়ে আগ্রহ না থাকার কারণ হিসেবে তিনি বলেন ‘বাংলাদেশের সা¤প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স একটা বড় ফ্যাক্টর। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে আমরা কখনোই ভালো খেলিনি সেটা তো নয়। টেস্টে আমাদের ডাবল সেঞ্চুরি আছে, আছে বেশ কিছু সেঞ্চুরিও। ওয়ানডেতেও ভালো করেছি। ম্যাচ জিতিনি, কিন্তু মাঠে লড়াই তো হয়েছে। তবে মনে হচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সটা বিবেচনায় আনছে অনেকে। এছাড়া করোনাভাইরাস পরিস্থিতিও একটা কারণ হতে পারে।’
আগামী মাসের মাঝমাঝি নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ। কোয়ারেন্টিন শেষে ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড প্রথম টেস্ট। এরপর ৯ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে দ্বিতীয় টেস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন