শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রেসিডেন্টের ভাষণে মন্ত্রিসভার অনুমোদন

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হলেই প্রশাসক নিয়োগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদে আগামী ২৪ নভেম্বর ভাষণ দেবেন। মন্ত্রিসভায় প্রেসিডেন্টের ওই ভাষণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কোনো কারণে সেখানে নির্বাচন করা না গেলে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে। এমন বিধান রেখে জেলা পরিষদ আইনের সংশোধিত খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া ইসলাম সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) তে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মিশন স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে প্রেসিডেন্টের ভাষণের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগামীকাল প্রেসিডেন্ট ভাষণ দিবেন। এটা একটা স্পেশাল ভাষণ। সাধারণত প্রেসিডেন্ট কোনো অধিবেশনের শুরুতে ভাষণ দেন। উনি মুজিববর্ষ উপলক্ষে একটা ভাষণ দিয়ে ছিলেন। এটা হচ্ছে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে, মহামান্য প্রেসিডেন্ট একটা স্পেশাল ভাষণ দেবেন। ভাষণের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বৈঠকে জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পৌরসভার মেয়রদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নির্বাচন করা না গেলে সেখানেও প্রশাসক নিয়োগের বিধান করেছে সরকার। এত দিন এসব জায়গায় কোনো কারণে নির্বাচন করা না গেলে আগের জনপ্রতিনিধিরাই দায়িত্বে থাকতেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সার্টিফিকেট ছাড়া কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন তিনি অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এমন বিধান রেখে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এতদিন আমাদের সিনেমাগুলো অনুমোদন করা হতো। সেন্সরশিপ অব ফিল্ম অ্যাক্ট-১৯৬৩ এবং ১৯৭২ সালে একটি অ্যামেনমেন্ড করা ছিল। পরে ২০০৬ সালে আইনটিকে সংশোধন করা হয়েছিল। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এটাকে মোডিফিকেশন করা হয়েছে যে, আইনটি একচুয়েলি সেন্সরশিপ আইন থাকা ঠিক হবে না। এটা সার্টিফিকেশন আইন হওয়া উচিত। তার একটা পার্ট থাকবে সেন্সর। শুধু সেন্সর থাকলে এখানে অন্যরকম অসুবিধা হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এখন সার্টিফিকেশন আইন প্রচলিত। সার্টিফিকেশন আইনে গেলে সেখানে সেন্সর একটা পার্ট থাকবে। সেজন্য ওনারা একটা অ্যামেনমেন্ড নিয়ে এসেছিলেন। এখানে খুব বেশি বা ম্যাসিভ কোনো চেঞ্জ হয়নি। সেন্সরশিপ যে আইনটি ছিল, তার সঙ্গে কিছু-কিছু যোগ করে এ আইনটা নিয়ে আসা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেন্সর বোর্ডে আগের মতোই একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। ১৪ জন সদস্যসহ মোট ১৫ জনের একটি বোর্ড থাকবে, যারা সার্টিফিকেট দেবে। চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে শ্রেণিবিন্যাস ও মূল্যায়ন পদ্ধতি করা হবে। সেটি বিধি নিয়ে নির্ধারণ করা হবে। ৭ সদস্যের একটি আপিল বোর্ড থাকবে। সেখানে আগের মতোই ক্যাবিনেট সেক্রেটারি সভাপতি থাকবেন। আইনের খসড়ায় শাস্তির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি সার্টিফিকেশনবিহীন কোনো চলচ্চিত্র বা প্রতীকবিহীন কোনো সার্টিফিকেশন পাওয়া চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন তাহলে সে অপরাধে তিনি অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আর কোনো ব্যক্তি যদি কোনো চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন পাওয়ার পর কোনো টেম্পারিং করেন, অনেক সময় যে সিনগুলো সার্টিফিকেট প্রাপ্ত না বা সেন্সর না সেগুলো যোগ করেন। তাহলে ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা ২ লাখ টাকা জরিমানা হবে।

তিনি বলেন, এতদিন আমাদের সিনেমাগুলো অনুমোদন করা হতো ১৯৬৩ সালের সেন্সরশিপ অব ফিল্ম অ্যাক্ট-১৯৬৩ এবং ১৯৭২ সালের একটি অ্যামেন্ডমেন্ট অনুযায়ী। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে আইনটিকে সংশোধন করা হয়েছিল। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এটাকে মোডিফিকেশন করা হয়েছে যে, আইনটি একচুয়ালি সেন্সরশিপ আইন থাকা ঠিক হবে না, এটা সার্টিফিকেশন আইন হওয়া উচিৎ। তার একটা পার্ট থাকবে সেন্সর। শুধু সেন্সর থাকলে এখানে অন্যরকম অসুবিধা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এখন সার্টিফিকেশন আইন চালু আছে। সার্টিফিকেশন আইনে গেলে সেখানে সেন্সর একটা পার্ট থাকবে। সেজন্য উনারা একটা অ্যামেন্ডমেন্ট নিয়ে এসেছিলেন। এখানে খুব বেশি বা ম্যাসিভ কোনে চেঞ্জ হয়নি। সেন্সরশিপ যে আইনটি ছিল, তার সাথে কিছু-কিছু যোগ করে এ আইনটা নিয়ে আসা হয়েছে। সেন্সর বোর্ডে আগের মতোই একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। ১৪ জন সদস্যসহ মোট ১৫ জনের একটি বোর্ড থাকবে, যারা সার্টিফিকেট দেবেন। চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে শ্রেণিবিন্যাস ও মূল্যায়ন পদ্ধতি করা হবে। সেটি বিধি নিয়ে নির্ধারণ করা হবে। ৭ সদস্যের একটি আপিল বোর্ড থাকবে। সেখানে আগের মতোই ক্যাবিনেট সেক্রেটারি সভাপতি থাকবেন। যদি কোনো ব্যক্তি সার্টিফিকেশনবিহীন কোনো চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন তাহলে সে অপরাধে তিনি অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আর কোনো ব্যক্তি যদি কোনো চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন পাওয়ার পর কোনো টেম্পারিং করেন, অনেক সময় যে সিনগুলো সার্টিফিকেট প্রাপ্ত না বা সেন্সর না, সেগুলো যোগ করেন, তাহলে ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা ২ লাখ টাকা জরিমানা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন