বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

হাতি হত্যা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

বন্য হাতি হত্যা বন্ধে ত্বরিৎ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে হাতি হত্যা রোধে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুসারে ১২টি ‘এলিফ্যান্ট করিডোর’ সংরক্ষিত করিডোর ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের কেন নির্দেশ দেয়া হবে নাÑ এ মর্মে রুল জারি করা হয়েছে।

রিটের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল দিয়েছেন। রুলে হাতি হত্যা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে নাÑ সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খান খালিদ আদনান। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। পরিবেশ সচিব, তথ্য সচিব, আইন সচিব, বন অধিদফতরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকসহ ২১ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

গত ২১ নভেম্বর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতি হত্যা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাক্টিভিস্ট আদনান আজাদ, ফারজানা ইয়াসমিনসহ তিনজন নাগরিক। রিটের বিষয়ে খান খালিদ আদনান বলেন, স¤প্রতি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এলাকায় একের পর এক বন্য হাতি হত্যা করা হচ্ছে। এসব ঘটনা বন্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বন অধিদফতর থেকে জরিপ করে বন্য হাতি চলাচলের জন্য ১২টি করিডোর নির্ধারণ করেছে। কিন্তু ওই সব করিডোর এখনও বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুসারে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়নি। যে কারণে বন্য হাতির চলাচলের জায়গায় মানুষজন বাড়ি-ঘর বানাচ্ছে। এতে চলাচলের বিঘ্ন ঘটায় হাতি সেগুলো ভাঙচুর করে। অন্যদিকে মানুষ বন্য হাতিকে বিভিন্নভাবে হত্যা করছে। এভাবেই হাতি ও মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। অথচ আগেই এসব করিডোর সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হলে এভাবে হাতি মারা পড়তো না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন