সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি পাবনার বেড়া পৌর নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারনায় বাঁধা সৃষ্টি করছে কি না-জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের চিঠির পরও তিনি এলাকা ত্যাগকরেছেন কি না-তাও জানাতে বলা হয়েছে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পাবনার জেলা রিটার্নিং অফিসারকে এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। রিটের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। টুকুর ছোট ভাই আব্দুল বাতেন এ রিট করেন। বাতেন বেড়া পৌর নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী। রিটের পরবর্তী শুনানি আগামি বৃহস্পতিবার। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও মুহাম্মদ সাইফুল আলম।
রিটে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ নভেম্বর পাবনার বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে পাবনা-১ আসনের সাংসদ শামসুল হক টুকুকে এলাকা ছাড়তে চিঠি দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এমপি’র ভাই ও পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী আবদুল বাতেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের এ অভিযোগ করেছেন।
এদিকে বেড়া পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন এমপি টুকুর বড় ছেলে ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আসিফ শামস রঞ্জন। সেখানে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন শামসুল হকের ছোট ভাই বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল বাতেন। একই সঙ্গে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন টুকুর বড় ভাইয়ের মেয়ে এস এম সাদিয়া আলম।
অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান বলেন, নির্বাচন কমিশন চিঠি দেয়ার পরও শামসুল হক টুকু এলাকায় অবস্থান করছেন। এমনকি আব্দুল বাতেনের সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারণায় হুমকি দিচ্ছেন তিনি। পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল বাতেন রিট করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন