কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দমোঃ সোহেলের বুকে ও মাথায় ৯টি গুলি লেগেছে। যার ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণে কাউন্সিলর সোহেলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের মাথায়, বুকের ডান পাশে, বাম চোখের নিচেসহ বিভিন্ন স্থানে ৯টি গুলি লাগে। তাকে যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখন প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।হাসপাতালের একটি মেডিক্যাল টিম কাউন্সিলরকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
হাসপাতালের পরিচালক বলেন, হরিপদ সাহা নামে আরেকজনের পেটের বাম পাশে গুলি লাগে। তার মৃত্যুও হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে।প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল সুজানগরে তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন পাথুরীয়া পাড়ার মো. রিজু, খোরেশদ মিয়া, জুয়েল মিয়া, সুজানগরের সোহেল চৌধুরী, দ্বিতীয় মুরাদপুরের মাজেদুল হক বাদল, আবদুল জলিল ও হরিপদ সাহা। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে চলে যায়।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল কুসিকের ১৭ নং ওয়ার্ডের পাথুরিয়াপাড়া (সুজানগর) এলাকায় নিজ কার্যালয়ে একটি বিষয় নিয়ে বৈঠক করছিলেন। এমন সময় মুখোশধারি কয়েকজন যুবক কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে পিস্তল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে।
সৈয়দ মো. সোহেল (৫২) কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রও ছিলেন। তিনি নগরীর সুজানগর এলাকায় সৈয়দ মো. শাহাজানের পুত্র। ছয় ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। ২০১২ ও ২০১৭ সালে তিনি কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন