শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আরো দেড় হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচর যাচ্ছে আজ

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

সপ্তম দফায় কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছে দেড় হাজার রোহিঙ্গা। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল থেকে তাদেরকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে জড়ো করা হচ্ছে। আজ সকালে বাস ও ট্রাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হবে। সেখান থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্ববধানে জাহাজে ভাসানচর আশ্রয়শিবিরে নেওয়া হবে তাদের। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রোহিঙ্গাদের নেওয়া হবে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠের অস্থায়ী প্রত্যাবাসন কেন্দ্রে। জাতিসংঘ যুক্ত হওয়ার পর এটাই ভাসানচরে প্রথম দফায় রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম। এর আগে ছয় দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচর আশ্রয়শিবিরে স্থানান্তর করা হয় ১৮ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গাকে। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়সহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও এনজিও স্থানান্তর কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামছু-দ্দৌজা বলেন, আজ সপ্তম দফায় কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু কতজন যাচ্ছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি। ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্ট কেন্দ্রে আনা হচ্ছে বলে জানালেন রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এক্সিবিশন) পুলিশ সুপার নাইমুল হক। তিনি বলেন, ক্যাম্পের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক আছে।

ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার ধারণক্ষমতার আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়।

উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পের মাঝি নাজির হোসেন বলেন, ভাসানচরে স্থানান্তর হতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কারণ, ভাসানচর আশ্রয়শিবিরটি কক্সবাজার ক্যাম্পের তুলনায় অনেক নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত, সুযোগ-সুবিধাও বেশি। কিন্তু ভাসানচর থেকে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। তাতে গোপনে পালিয়ে আসা বন্ধ হবে।

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গারা নৃশংসতার শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। তখন কয়েক মাসে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখের ও বেশী। এদিকে রোহিঙ্গা নেতারা বলছেন, ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় জাতিসংঘ যুক্ত হওয়ায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের মধ্যেও উচ্ছাস দেখা দেয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন