বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দিল্লি সূত্রে খবর, বুধবারই এই বিতর্কিত আইন প্রত্যাহারের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। শীতকালীন অধিবেশনে আইন প্রত্যাহার করা হতে পারে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই খুশি কৃষকেরা।
গত ১৯ নভেম্বর অর্থাৎ গত শুক্রবার কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশেষজ্ঞ মহল বলেছিল, নিয়ম মেনে শীতকালীন অধিবেশনে প্রত্যাহার হতে পারে এই বিল। এদিন তারই প্রথম ধাপ সেরে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিল প্রত্যাহারের অনুমোদন মিলল। এ প্রসঙ্গে কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে আংশিক ধন্যবাদ জানিয়েছি। তবে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে আন্দোলন চলবে।’
আইনজ্ঞদের কথায়, কোনও আইন যেভাবে প্রণয়ন করা হয়, একই পদ্ধতিতে তা প্রত্যাহার করা হয়ে থাকে। ফলে আইন প্রণয়ন যেভাবে হয়েছিল সেভাবেই আইন প্রত্যাহারের বিলটিকে সংসদে পেশ করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে। এরপর সংসদে এই বিষয়ে ভোটাভুটি হবে। গোটা প্রক্রিয়ায় কতদিন সময় লাগবে তা নির্ভর করে বিলটিকে নিয়ে রাজনীতির উপর। অর্থাৎ যদি বিরোধীরা সংসদকে স্বাভাবিকভাবে চলতে দেন তবে দ্রুত আইন প্রত্যাহার হতেই পারে। তবে তার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সেই বিল প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস করা দরকার। এদিন সেই কাজ সেরে ফেললেন মোদির মন্ত্রিসভা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনটি কৃষি বিলে সংশোধন করে আইনে পরিণত করে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর থেকেই দেশজুড়ে বিতর্ক ও বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষ করে দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানে তুমুল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু করেন সেখানকার কৃষকেরা। ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে দিল্লি সীমান্তে সংগঠিত আন্দোলন শুরু করেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের হাজার হাজার কৃষক। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় অনেকগুলি কৃষক সংগঠন। আন্দোলন চলাকালীন মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন