শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

৪০ বছরে কলঙ্কমুক্ত!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

‘ধর্ষণের’ অভিযোগে আইনের হাতে মাত্র ২০ বছর বয়সে ধরা পড়েছিলেন। দীর্ঘ ১৬ বছর কারাগারে কাটাতে হয়েছে। তারপর মুক্তি মিললেও মুক্তি দেয়নি অতীতের ছায়া। তবে প্রায় ৪০ বছর পর আদালত তার বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ ‘ফিরিয়ে নিয়েছে’।
এ খবর পেয়ে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি অ্যান্টনি ব্রডওয়াটার। জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় ‘ধর্ষকের’ তকমার সঙ্গে ছায়াযুদ্ধ চালানো ব্রডওয়াটার বয়স এখন ৬১ বৃদ্ধ। রায় শুনে চোখের পানি মুছে শুধু বললেন, ‘ভাবিনি যে এই দিনটি কোনও দিন দেখতে পারব...।’
১৯৮১ সালে নিউ ইয়র্ক শহরের এক নির্জন পার্কে ধর্ষণের শিকার হন সাইরাকিউস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী অ্যালিস সেবোল্ড। ১৯৯৯ সালে একটি বইয়ের মাধ্যমে সেই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেছিলেন সেবোল্ড। জনপ্রিয় হয় বইটি।
তবে ওননদাগা কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি উইলিয়াম ফিটজপ্যাট্রিকের মতে, তার উপর হওয়া অত্যাচার অস্বীকার করার জায়গা নেই। ব্রডওয়াটারই যে আসল অভিযুক্ত তার কোনও যথাযথ প্রমাণ আইনের কাছে নেই।
‘লাকি’ নামক ওই বইয়ে সেবোল্ড লিখেছিলেন, অত্যাচারের বেশ কয়েক মাস পর মার্শাল স্ট্রিট থেকে হেঁটে যাওয়ার সময় এক দিন অভিযুক্তকে দেখেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাচক্রে গ্রেফতারকৃতই ছিলেন ব্রডওয়াটার।
অভিযোগকারিণী নিজেও শনাক্তকরণে ভুল করেছিলেন। নিজের বইতেই এই কথা জানিয়েছেন সেবোল্ড। তিনি লিখেছিলেন, শনাক্তকরণের সময়ে ব্রডওয়াটারের পাশে যিনি দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের দু’জনকে একই রকম দেখতে ছিল। ফলে ব্রডওয়াটারের নাম বলার পরে তার এক বার মনেও হয়েছিল যে তিনি ভুল করেছেন।
১৬ বছর জেলে কাটিয়ে মুক্তি পেলেও ‘সেক্স অফেন্ডার’ রেজিস্ট্রিতে নাম থেকে যাওয়ায় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির জায়গা, সব স্থানেই মিলেছে ঘাড় ধাক্কা। এই কালিমার ছায়া তাদের জীবনে ফেলতে চাননি বলে সন্তান না নেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেন ব্রডওয়াটার। সূত্র : এনওয়াই পোস্ট, পিপল ডটকম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন