কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলর সোহেলের কপাল, মাথা, বুক ও গালে চার ঘাতক মিলে ৯টি গুলি করে। সোহেলের মৃত্যু নিশ্চিত করতে প্রধান আসামি শাহ আলম ডান কপালে, ২নং আসামি জেল সোহেল মাথায়, ৫নং আসামি সাজন বুকের বাম পাশে ও ৬নং আসামি রকি ডান গালে গুলি করে।
থানায় দায়ের করা মামলার বিবরণীতে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাদী কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ রুমন।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় আসামীর তালিকায় ১১জনের নাম উল্লেখ করা হয়। আসামীরা হলেন- নগরীর সুজানগর এলাকার শাহ আলম।নবগ্রামের শাহ আলমের ছেলে জেল সোহেল, সুজানগরের রফিক মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন, একই এলাকার কানু মিয়ার ছেলে সুমন, সংরাইশের কাকন মিয়ার ছেলে সাজন, তেলিকোনার আনোয়ার হোসেনের ছেলে রকি, সুজানগরের জানু মিয়ার ছেলে আলম, একই এলাকার নুর আলীর ছেলে জিসান মিয়া, সংরাইশের মঞ্জিল মিয়ার ছেলে মাসুম, নবগ্রামের সামছুল হকের ছেলে সায়মন ও সুজানগরের কানাই মিয়ার ছেলে রনি। তাদের মধ্যে সুমন ও মাসুম গ্রেফতার হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়,আসামিরা মাদক ব্যবসা করেন। কাউন্সিলর সোহেল বাধা দেয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তিনি সোমবার পাথুরিয়া পাড়ায় তার অফিস সংলগ্ন থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজ রড সিমেন্ট দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় আসামিরা কালো পোষাক পরে প্রবেশের পর এলোপাতাড়ি গুলি করে। হামলাকারীদের পিস্তলের দুটি গুলি সোহেলের মাথায়, দুটি বুকে, অন্য পাঁচটি পেট,গাল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে।
উল্লেখ্য,গত সোমবার বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা।
কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার পেটে ২টি গুলি লেগেছিল। এছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও ৫ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন