৩৬টি সঞ্চয়ী ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩ হাজার ৮৯৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা লেনদেন করেছে কথিত ‘ই-কমার্স’ প্রতিষ্ঠান ‘ই-ভ্যালি’। হাইকোর্টে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন জমা দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। ইভ্যালি ডটকম লিমিটেড ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৬৭টি হিসাবের আনুষাঙ্গিক দলিলাদি বিশ্লেষণ করা হয়েছেÑ মর্মে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
এর মধ্যে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জমা হয়েছে ১৯৫৬.১৯ কোটি টাকা। উত্তোলন করা হয়েছে ১৯৪.৬৩ কোটি টাকা। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত সেলিম রেজা, ফরিদ হোসোইন, তারিক রহমান রাকিবুর ৫০ কোটি টাকা নগদ উত্তোলন করেছেন। ৩৬টি অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ বিষয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পলিসি কী, তা জানতে চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান দু’টি এ প্রতিবেদন দাখিল করে। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চে প্রতিবেদনটির ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রিটের পক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে আদেশ অনুযায়ী শুনানিতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন না পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি গত ১৬ নভেম্বর উষ্মা প্রকাশ করেন আদালত। ওইদিন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পলিসি কী, তাও জানাতে হবে আদালতকে। এছাড়া ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি কী, তাও সেদিন জানাতে বলা হয়েছিল আদেশে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন