বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ফ্রান্সকে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমকারী অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেলের সাথে আলোচনা বাতিল করেছেন।
গত বুধবার ইংলিশ চ্যানেলে ২৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যুর পরে রাজনৈতিক সংকটের বৃদ্ধি পাওয়ার পরে, জেরাল্ড ডারমানিন বলেছিলেন যে, চিঠিটি দেখে ফ্রান্স হতাশ হয়েছে। ‘চিঠিতি প্রকাশ্যে লেখা বিষয়টিকে আরও খারাপ করেছে।’ ‘আমরা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পাবলিক লেটারকে অগ্রহণযোগ্য মনে করি এবং এটি অংশীদারদের মধ্যে আমাদের আলোচনার বিরোধী,’ ডারমানিন এক বিবৃতিতে বলেছেন। ‘ফলে প্রীতি প্যাটেলকে আর আমন্ত্রণ জানানো হয়নি,’ তিনি যোগ করেছেন।
জনসন বুধবারের ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি এড়াতে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখ্যোঁর কাছে তার চিঠিতে পাঁচটি পদক্ষেপ নির্ধারণ করেছেন। ফরাসি উপকূল থেকে আরও নৌকা ছেড়ে যাওয়া ঠেকাতে যৌথ টহল, সেন্সর ও রাডারের মতো উন্নত প্রযুক্তি মোতায়েন, পরস্পরের আঞ্চলিক জলসীমায় টহল এবং আকাশপথে নজরদারি, যৌথ গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরালো করা, তাৎক্ষণিকভাবে ফিরিয়ে নিতে ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি।
বুধবার ইংলিশ চ্যানেলে রেকর্ড প্রাণহানিতে নিহতদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, সাত নারী- যাদের মধ্যে একজন গর্ভবতী এবং তিন শিশু রয়েছে। এ বিষয়ে আগামী রোববার ক্যালাইসে একটি শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে যেখানে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি এবং ইউরোপীয় কমিশন সবাই যোগদান করবে।
জনসনের চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, ফরাসি সরকারের ক্ষোভ স্পষ্ট ছিল। সরকারের মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েল আটাল বলেছেন যে চিঠিটি ‘বস্তুগত দিক থেকে দুর্বল, এবং সম্পূর্ণরূপে প্রসঙ্গের বাইরে’, চ্যানেল উপকূলে ফ্রান্স যে সমস্ত কাজ করেছিল, চিঠিটি তার প্রতি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। সূত্র: বিবিসি নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন