বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

অবিলম্বে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণ করুন

তালাবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০২১, ৭:১২ পিএম

অবিলম্বে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণ করুন। শিক্ষার সর্বস্তরে ১০০ নম্বর ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও ছাত্রদের হাফভাড়াসহ সকল ন্যায্য দাবি মেনে নিন। বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সুদীর্ঘ ৯৩ বছরব্যাপী যাবতীয় ষড়যন্ত্রের প্রাচীর ভেঙে মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষকদের ন্যায্য দাবী আদায় ও মাদরাসা শিক্ষাকে জাতীয় শিক্ষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। শিক্ষা খাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দাবী আদায়ে বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার ঐতিহাসিক ভূমিকা ও অবদান অবিস্মরণীয়।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া’র ৯৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও শাহ্ মুহাম্মদ নাজিউল্লাহ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মওলানা মুহাম্মাদ এরশাদ উল্যাহ ভূঁইয়া। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল ও বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা সুরুজ্জামান, প্রধান সম্পাদক মাওলানা কাজী সাইফুদ্দীন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল শওকাত হোসন, মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা রুহুল আমীন, মাওলানা এ এম এম কামাল উদ্দীন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, সহ সভাপতি মাওলানা সাইফুল্লাহ খান, সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ভ‚ঞাঁ, মাওলানা শাহ জালাল, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল কাদির, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহমান, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক।

নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো জাতীয়করণ না করার মাধ্যমে মাদরাসাগুলোকে ছাত্রশুন্য করে দেয়া হচ্ছে এবং এগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম প্রায়। দেশে হাজার হাজর প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে; যার অধিকাংশই সরকারী। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ১০০% বৃত্তি ও টিফিনসহ নানান ধরনের সরকারী সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ইবতেদায়ী মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরা বিমাতা সুলভ আচরণের শিকার এবং সরকারী সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এমনকি শিক্ষকরাও বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। যা মাদরাসা শিক্ষাকে পঙ্গু করার অন্যতম একটি কৌশল। তাই স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণ সময়ের দাবী।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন