বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কারো চিকিৎসার নামে জনগণকে জিম্মি করা যাবে না : কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদের

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

বিএনপির প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, কারও চিকিৎসার নামে জনগণকে জিম্মি করা যাবে না। কোনও ইস্যু সৃষ্টি করে শান্তি-শৃঙ্খলাভঙ্গ, নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তা প্রতিহত করবে।

গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমন্ডলীর বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির আন্দোলন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশবিরোধী এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে প্রতিহত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সারাদেশের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থান ও সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হচ্ছে। যারা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করবে আমরা তাদের সমুচিত জবাব দিবো।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেওয়ার দাবির জবাবে কাদের বলেন, সংবিধান ও আইন দ্বারা দেশ পরিচালিত হচ্ছে। দেশের প্রচলিত আইন ও সাংবিধানিক নিয়ম-নীতির মধ্যে যতটুকু সম্ভব তার সবটুকু সুযোগ বেগম জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। শেখ হাসিনার মানবিক হৃদয়ের কল্যাণে একজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও খালেদা জিয়া বাসায় থাকছেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্তাবধানে তিনি চিকিৎসা নেওয়ার সর্বোচ্চ সুযোগ পাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, হতে পারে খালেদা জিয়া বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আইনের চোখে তার বর্তমান পরিচয় সাজাপ্রাপ্ত আসামি, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। বিএনপি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর উদারতাকে প্রতিহিংসা বলতে দ্বিধা করছেন না।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে স্লোপয়জনিং করার অভিযোগের জবাবে কাদের বলেন, বেগম জিয়ার পাশে থাকেন আপনারা, তাকে যে খাওয়ায় সে পরিবারের লোক। আশেপাশে সর্বক্ষণ ঘোরাফেরা করে বিএনপির লোকেরা। আওয়ামী লীগ কিংবা সরকারের কেউ তার পাশে থাকে না। তার ব্যক্তিগত পছন্দের চিকিৎসকরাই চিকিৎসা দিচ্ছেন। স্লো পয়জনিং যদি করে থাকে তাহলে বিএনপির লোকেরাই করতে পারে।
এছাড়া সভার আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের বিআরটিসি বাসে ৫০ শতাংশ ভাড়া নির্ধারণ করায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সম্পাদক মন্ডলীর সভায় ধন্যবাদ জানানো হয়। এছাড়া বাস মালিক শ্রমিকদের প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের অর্ধেক ভাড়া রাখার জন্য আহবান জানানো হয়।

উক্ত সভায় ডিসেম্বর মাসের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন (ধানমন্ডি ৩২) পর্যন্ত রেলি অনুষ্ঠিত হবে। ১০ ই জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় আয়োজন নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ওয়াসিকা আয়শা খান, শাম্মী আহমেদ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিপ্লব বড়ুয়া, দেলোয়ার হোসেন, সায়েম খান, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন