বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

টঙ্গীর মাজার বস্তির পাঁচ শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৩২ এএম

গাজীপুরের টঙ্গী বাজারস্থ হাজির মাজার বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচ শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার ভোর ৪টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সেনাকল্যাণ ভবনের পাশে ওই বস্তিতে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।

খবর পেয়ে টঙ্গী দমকল বাহিনীর চারটি ও উত্তরা এবং কুমিটোলার পাঁচটি ইউনিটসহ মোট ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বস্তিবাসীরা জানান, গতকাল শুক্রবার রাত ৩টার দিকে ওই বস্তির একটি কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে আগুন আশপাশের বস্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বস্তিবাসীর মধ্যে। ছুটাছুটি করে একে একে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তারা। হঠাৎ লাগা আগুনে হতবাক বস্তিবাসী জীবন বাঁচাতে পারলেও চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় তাদের আসবাবপত্র ও মালামাল। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই।
আগুনে অন্তত সহস্রাধিক রুম পুড়ে গেছে দাবি করে স্থানীয় ৫৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াসউদ্দিন সরকার বলেছেন, আগুনে বস্তির বেশিরভাগ কক্ষ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের সঙ্গে পরামর্শ করে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
শনিবার ভোরের দিকে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় ৫টা ৫৫ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ইকবাল হাসান। তিনি বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা এখন ডাম্পিংয়ের কাজ করছি। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।’
প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানান, বস্তিতে প্রায় হাজার খানেক ঘর ছিল। তার মধ্যে ৫০০-এর বেশি পুড়ে গেছে। ঘরগুলো একটার সঙ্গে আরেকটা লাগালাগি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে গেছে। বস্তিতে ঢোকার মতো রাস্তা না থাকায় তাদের গাড়ি ভেতরে ঢুকতে পারেনি। বস্তির বাইরে থেকে পানি দিতে হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (অপারেশন) মানিক উজ্জামান জানান, আগুন লাগার পর টঙ্গী, উত্তরা, সদর দপ্তরসহ আশেপাশের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ৯টি ইউনিট ভোর চারটার দিকে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ৫ শতাধিক কক্ষ ও মালামাল পুড়ে গেছে।
তবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আগুনে বস্তির সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সব হারিয়ে এসব বস্তিবাসী চাইছেন পূনর্বাসন ও বেঁচে থাকার সহায়তা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন