২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ওষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ের দরপত্র (টেন্ডার) ক্রয়কে কেন্দ্র করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের ওপর হামলা এবং ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। হামলার ঘটনার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিন ও তার লোকজনকে দায়ী করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে অন্য ঠিকাদারের লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে দাবী করেন যুগ্ম আহবায়ক। ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ মিছিল করেন হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারিরা।
রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে এ কর্মসূচী পালন করে তারা। এরআগে দুপুর ১টার দিকে তত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিনের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) সৈয়দ মহি উদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, হাসপাতালের ওষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডার নোটিশ ক্রয় করতে আসেন জেলা আ.লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিন। এসময় তাঁর সাথে অর্ধশত সমর্থক ছিলো। তার লোকজন পুরো হাসপাতালের ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেন। তিনি নোটিশ চাইলে প্রক্রিয়া শেষ করে নোটিশ দিতে কিছুটা দেরি হলে তার লোকজন তত্ত্বাবধায়ককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত ও অফিসের অন্যান্য কর্মচারিকেও মারধর করে। হামলাকারিরা হাসপাতালের গেইটসহ বিভিন্ন সামগ্রি ভাঙচুর করে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বরাবর আমরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, গত অক্টোবরের ১০তারিখে একটি টেন্ডার ছিলো, কিন্তু কোন প্রকার নোটিশ ছাড়া ওই টেন্ডারটি স্থগিত করে পুনঃরায় টেন্ডার করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী আমি আমার লোকজন নিয়ে দরপত্র ক্রয় করতে গেলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দরপত্র দিতে গড়িমসি করে। তত্ত্বাবধায়ক দিতে চাইলেও তার কর্মচারীরা তাকে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে আমরা আমাদের সিডিউল নিয়ে চলে আসি। যতটুকু শুনেছি আমরা আসার পর অন্য ঠিকাদারের লোকজনের সাথে তত্ত্বাবধায়কের সাথে ঝামেলা হয়েছে। আমি বা আমার কোন লোক হামলার সাথে জড়িত নই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন