গফরগাঁও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে আমন ধান কাটা ধুম পড়েছে। তবে সর্বত্র কৃষি শ্রমিকের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে ধান কাটতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। অন্যান্য বারের তুলনায় এ বার আমন ফলন হয়ে মোটামুটি হয়ে থাকলে ও ধানের দর তেমন একটা না থাকায় কৃষকের মুখে হাসি নেই। প্রচন্ড খরার ও পোকার আক্রমনের ফলে ফলন কম হয়েছে। তারপরেও কৃষি শ্রমিকের মূল্য খুবই চড়া। দৈনিক দু’বেলা খাবার দিয়ে ও ৪শ’ টাকা থেকে ৫শ’ ৫০ টাকা দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এতে করে নির্ধারিত সময়ে ধান কেটে ঘরে এনে পুনরায় আবার বোরোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এখন পরো দমে ধান কাটার মৌসুম চলছে। এখন কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আমন আবাদ হয়েছে ২২ হাজার ৫শ’ ৫০ হেক্টর। এতে করে মোট ৪৫ হাজার ৮শ’ ১৩ মে. টন চাল উৎপাদন হয়েছে। অন্যন্যা বারের চেয়ে এবারে কৃষকদের মধ্যে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বোরো আবাদ রোপনের জন্য কৃষকরা এখন পরোদমে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে আমন ধান কাটার জন্য। ধান ঘরে তোলা নিয়ে কৃষককূল ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে যে, কৃষি শ্রমিকের অভাবে ধান কাটা যাচ্ছে না। শ্রমিকের অভাবের কারণ হচ্ছে যে, অনেকেই রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে র্কমস্থানে চলে গেছে। আবার কেউ কেউ বিদেশে চলে গেছে। এক সময়ে গফরগাঁও রেল স্টেশনে বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত শ্রমিক আসতো কৃষি কাজ করার জন্য। কিন্তুু ভাগ্য নির্মম পরিহাস যে, কালের বিবর্তনের সে দৃশ্য এখন আর চোখে পড়েনা। দিন বদল পালার সাথে সাথে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন