সামরিক শাসনে থাকা মিয়ানমারের একটি আদালত ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে প্রথম রায় ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে। বিচারিক কার্যক্রমের বিষয়ে জ্ঞাত একটি সূত্র মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানালেও রায় পেছানোর কারণ বলতে পারেনি।
মঙ্গলবার সু চির বিরুদ্ধে উত্তেজনা উস্কে দেওয়া এবং কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইন ভাঙার দায়ে হওয়া মামলার রায় হওয়ার কথা ছিল।
দোষী সাব্যস্ত হলে প্রথমটিতে সর্বোচ্চ দুই বছর এবং পরেরটিতে সু চির সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) দলের অন্যতম নেতা ও ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্টও এসব অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন, দোষী সাব্যস্ত হলে তারও একই সাজা হতে পারে।
ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে বন্দি সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ ১২টি মামলা হয়েছে। সবগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে নোবেলজয়ী এ নেত্রীর সর্বোচ্চ ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।
অভ্যুত্থানের পর থেকে সু চির সঙ্গে যোগাযোগের সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে; জুন থেকে তার বিচার শুরু হয়েছে, তার মামলার শুনানিতে বিচারপ্রক্রিয়া বহির্ভূত কারও প্রবেশাধিকারও রাখা হয়নি।
সু চির রায়ের প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে নেপিডোর আদালতের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। মঙ্গলবার এ বিষয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের এক মুখপাত্রকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
এনএলডি নেতা সু চি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সব মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলছেন তার সমর্থকরা।
সু চির বিচারিক কার্যক্রম বিষয়ে সামরিক জান্তা কিংবা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কোনো তথ্য জানায় না। বিচার বিষয়ে বাইরে কিছু না বলতে আদালত সু চির আইনজীবীর ওপরও আদেশ দিয়ে রেখেছে। সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন