স্টাফ রিপোর্টার : গ্রাহকদের ভোগান্তি ও ক্ষতি বিবেচনায় না নিয়েই বিটিআরসির সিটিসেল বন্ধের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক মনে করছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। গতকাল (শুক্রবার) সংগঠনটির এক বিবৃতিতে সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রাহকদের ভোগান্তি ও ক্ষতি বিবেচনায় না নিয়ে এবং তাদের কোন প্রকার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা না করেই সিটিসেল কার্যালয় সিল করে সিটিসেল বন্ধ করে দেয়া অযৌক্তিক ও জনবিরোধী। তিনি বলেন, বিটিআরসির এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রাহকদের ক্ষতি বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সিটিসেল সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। সর্বশেষ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয় প্রায় ৭ লাখ ১০ হাজার গ্রাহক। এ বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতি বিটিআরসি বিবেচনায় নেয়নি। অন্য অপারেটর ব্যবহার করার ফলে সিটিসেল-এর ব্যবহারকারীদের পূর্বের হ্যান্ডসেট কোন কাজে আসবে না। ফলে তাদের নতুন করে হ্যান্ডসেট ও সিম ক্রয় করতে হবে। আবার পূর্বের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করার সময় এ সকল গ্রাহককে প্রচুর হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে আমাদের সংগঠনের হিসাবে লক্ষ্য করা যায়, এ খাতে এ বিপুলসংখ্যক গ্রাহককে ৮শ’ থেকে সাড়ে ৮শ’ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে। এই ব্যয় নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বহন করার কথা থাকলেও বিটিআরসি এ বিষয়ে কোন দায়িত্ব নেয় নি। যে সময় প্রধানমন্ত্রী ফোর-জি চালুর ঘোষণা প্রদান করেন, প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সারাদেশকে ইন্টারনেট ও তথ্য-প্রযুক্তি আওতায় আনার ঘোষণা প্রদান করেন এবং গ্রামীণফোন ২ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করে ঠিক সেই সময় বিপন্ন হয়ে গেল সিটিসেল এবং সিটিসেলের গ্রাহক। সিটিসেল শুরুতে এর মালিক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম. মুর্শেদ খান সেই সময় সরকারে থাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকদের জিম্মি করে বাজারে মনোপলি ব্যবসা করে। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে সিটিসেলের বিচার দাবি করি। সেই সঙ্গে সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। এই দাবি বিটিআরসি আমলে না নিলে তার দায়-দায়িত্ব বিটিআরসিকে নিতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন