শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খুনের পর সন্তানের জন্য কেনা পুতুলও ছিনতাই করে তারা

প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : শিশুপুত্রের জন্য একপ্যাকেট দুধ আর কন্যার জন্য একটি পুতুল নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)। পথে ছিনতাইকারিরা তাকে খুন করে। টাকা-পয়সা আর দামি মোবাইল ফোনের সাথে ছিনিযে নেয় দুধ আর পুতুল।
গতকাল (শুক্রবার) খুনিচক্রের এক সদস্যের দেয়া স্বীকারোক্তিতে উদ্ধার করা হয় ওই পুতুল আর দুধের প্যাকেট। ধরা পড়ে অটোরিকশায় ফাঁদ পেতে ভয়ংকর ছিনতাইকারি চক্রের ৪ সদস্য।
১৩ অক্টোবর রাতে খুলশী থানার আমবাগান ভাঙ্গারপুল এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ভিকটিম জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী লায়লা বেগম বাদী হয়ে খুলশী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত জাহাঙ্গীর আলমের পিতার নাম মৃত বদিউজ্জামান। তাদের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম পাঠানগর। তিনি চট্টগ্রাম ইপিজেডে সি-টেক্স গার্মেন্টসের স্টোর সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন বাড়ি যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিকশা যোগে অলংকার মোড়ের উদ্দেশে রওয়ানা দেন।
পুলিশ জানায়, মামলার তদন্তকালে লোহাগাড়া হাউজিং সোসাইটির মহরম আলীর বাসা থেকে হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ নূর হোসেনকে (৩৫) এবং বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা থেকে তার অন্যতম সহযোগী মোঃ নাছিরকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়। আসামী নূর হোসেনের স্বীকারোক্তি মতে তার বাসা হতে নিহত জাহাঙ্গীরের ব্যবহৃত মোবাইল সেট এবং ছেলের জন্য কেনা গুঁড়ো দুধের প্যাকেট ও খেলনা পুতুল উদ্ধার করা হয়।
পরে আসামী নূর হোসেন ও নাছিরের স্বীকারোক্তি মতে হত্যাকাÐে অংশ নেয়া অপর আসামী মোঃ মহিন উদ্দিনকে (২২) ওয়ার্লেস গেইট থেকে এবং সিএনজি অটোরিকশা চালক মোঃ সোহেলকে (৩০) খুলশী থানাধীন ঝাউতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামী মোঃ সোহেলের স্বীকারোক্তি মতে ঝাউতলার গ্যারেজ থেকে হত্যাকাÐে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা (চট্ট মেট্রো- থ-১২-৩০৪৯) উদ্ধার করা হয়। আসামীরা জানায়, তারা পেশাদার অপরাধী এবং সক্রিয় ছিনতাই চক্রের সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজশে সিএনজি অটোরিকশা ব্যবহার করে যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা মোবাইল ও অন্যান্য মালামাল হাতিয়ে নেয়। আসামীরা ওই রাতে নিমতলা বিশ্বরোড থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে অলংকার মোড়ে পৌঁছে দেয়ার জন্য সিএনজিতে উঠায়।
পথে তার কাছে থাকা নগদ টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। জাহাঙ্গীর চিৎকার করার চেষ্টা করলে আসামীরা তাকে গলাটিপে হত্যা করে এবং খুলশী থানাধীন আমবাগান ভাঙ্গারপুল এলাকায় লাশ ফেলে রেখে দ্রæত পালিয়ে যায়। আসামী নূর হোসেন ও নাছির গতকাল আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন