মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মল থেকে হবে জ্বালানি!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

মানুষের মল যে সারের কাজে লাগে, সে কথা সকলেই জানে। কিন্তু সেই একই বর্জ্য পদার্থ যে শক্তির উৎস হয়েও দাঁড়াতে পারে, এ কথা গোড়াতে অনেকেরই বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু শেষমেশ পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেল, মানুষ, মুরগি এবং টার্কির মল হয়ে দাঁড়াতে পারে ফুয়েলের উৎস। এমন দাবি করেছেন ইসরাইলের বেন-গুরিয়ন ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক বিজ্ঞানী। মাঠে একটি শৌচাগারও তৈরি করে ফেলেছেন তারা, বিস্তারিত পরীক্ষা চালাবার জন্য।

তাদের গবেষণা আসলে শুরু হয়েছিল পোলট্রি থেকে পাওয়া বর্জ্য পদার্থ, অর্থাৎ মুরগির মল দিয়েই। তাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ও নাইট্রোজেন থাকে, যা শক্তি উৎপাদনের জন্য দুটি জরুরি উপাদান। পরে তারা মানুষের মলকেও তাদের গবেষণার অন্তর্ভুক্ত করেন। প্রথমে মলকে অটোক্লেভে উত্তপ্ত করে এর জীবাণু দূর করে ফেলা হয়, এবং তারপর শুকনো অবস্থায় এনে গুঁড়ো করে ফেলা হয়। পাউডারের মতো করে ফেলে এই মলকে পানিতে মিশিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। সব শেষে নটি ৫০ মিলিলিটার মাপের ল্যাব রিঅ্যাকটরে তা পুরে দেয়া হয়েছিল। পানি থাকলেও অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে পুরো প্রক্রিয়াটি ঘটানো হয়, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে এইচটিসি বা হাইড্রোথার্মাল কার্বোনাইজেশন বলে। এর ফলে পানি ও পুড়ে যাওয়া জৈব অণু মিলে তৈরি হয় বাদামি রঙের এক পদার্থ, বিজ্ঞানীরা যাকে বলেন হাইড্রোচার। জানা যাচ্ছে, এই হাইড্রোচারকে কয়লার মতো ব্যবহার করা যেতে পারে। কয়লা পুড়িয়ে শক্তি উৎপাদন করে যেসব বিদ্যুৎ প্রকল্প চলে, সেইসব বাণিজ্যিক ফার্নেসেও এটি ব্যবহার করা চলবে বলে জানিয়েছে একটি রিপোর্ট। বিজ্ঞানীরা হিসাব করে জানিয়েছেন, শিল্পে যে পরিমাণ কয়লা ব্যবহার করা হয়, তার অন্তত ১০ শতাংশকে প্রতিস্থাপন করতে পারবে পোলট্রির বর্জ্য। মানুষের বর্জ্য মুরগি, টার্কি ইত্যাদি পাখির বর্জ্যের তুলনায় আরও বেশি কার্যকরী। কারণ বিভিন্নরকম খাবার খাওয়ার ফলে মানুষের বর্জ্য পদার্থে বেশি পরিমাণে তেল থাকে, যা একে আরও দাহ্য করে তোলে। বিজ্ঞানীদের দাবি যথাযথ হলে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর চাপ অনেকটাই কমিয়ে দেবে এই বিকল্প জ্বালানি। সূত্র : পপুলার সায়েন্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন