বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

টুইটারের শীর্ষপদে বসতেই বিতর্কে পরাগ আগরওয়াল

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:২৭ পিএম

টুইটারের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার বা সিইও পদে বসতে না বসতেই বিতর্কে জড়ালেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়াল। সৌজন্যে এগারোর বছরেরও বহু পুরনো এক টুইট। অভিযোগ, সেই টুইটে বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সেই সময় অবশ্য তিনি টুইটারের কর্মী ছিলেন না। এবার সেই টুইট ঘিরেই বিতর্কে সংস্থার নতুন সিইও।

ঠিক কী পোস্ট করেছিলেন তিনি? ২০১০ সালে টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ”যদি ওরা মুসলিম ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে ফারাক না করতে পারে, তা হলে আমিই বা কেন বর্ণবিদ্বেষী ও শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে পার্থক্য করব?” তবে ২০১০ সালের ২৬ অক্টোবরের ওই পোস্টের বক্তব্য আসলে পরাগের নয়। তিনি এক কমেডিয়ানের করা বিবৃতিকেই তুলে ধরেছিলেন। এতদিন পরে সেই পুরনো টুইট ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। তাকে ট্রোল করা শুরু করেন অনেকেই।

সোমবার এক বিবৃতিতে সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডর্সি। এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ডর্সি লেখেন, “১৬ বছর ধরে আমাদের সংস্থায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পর আমার বিদায নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। পরাগ (পারগ আগরওয়াল) হচ্ছেন আমাদের সিইও। প্রতিষ্ঠাতাদের ছাড়াই সংস্থা এগিয়ে যেতে পারে বলে আমই মনে করি। তাই সিইও পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” অন্যদিকে, নয়া দায়িত্ব পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত পরাগ। তিনি বলেন, ‘‘আমি সম্মানিত বোধ করছি।”

২০১১ সাল থেকেই টুইটারের সঙ্গে জড়িত আইআইটি বম্বের প্রাক্তনী। ২০১৭ সালে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের চিফ টেকনোলজি অফিসার পদে বসেন পরাগ। ছাত্র জীবনে অত্যন্ত মেধাবী বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। মুম্বাইয়ের স্কুলে পড়াশোনা করেছেন পরাগ। আইআইটি বম্বে থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে করেছেন বি.টেক। তারপর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডক্টরেট করেছেন। ২০০৬ সালের জুনে মাইক্রোসফ্টে যোগ দেন তিনি। পরে ২০১১ সালের অক্টোবরে যোগ দেন টুইটারে। মাঝে ইয়াহু ও এটি অ্যান্ড টি ল্যাবেও কাজ করেছিলেন তিনি। সূত্র: ডেকান হেরাল্ড।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
N Islam ২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৪:১১ পিএম says : 0
২০১০ সালে টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ”যদি ওরা মুসলিম ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে ফারাক না করতে পারে, তা হলে আমিই বা কেন বর্ণবিদ্বেষী ও শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে পার্থক্য করব?” - কথাটা কি খুব অন্যায় ছিলো ?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন