শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

যাত্রীর সংখ্যা বেশি হলে বিমানবন্দরে ল্যাবের সংখ্যা বাড়ানো হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫:১৮ পিএম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিমানবন্দরে যাত্রীর সংখ্যা বেশি হলে ল্যাবরেটরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাইগামী যাত্রীদের টেস্টিং ফ্যাসিলিটিস পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সব কিছু ভালো করার চেষ্টা করছি। চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো হয়েছে। মৃত্যুর হার এক-দুইয়ে আছে। ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম খুবই গতি লাভ করেছে। টার্গেটেড পপুলেশনের ৫০ শতাংশ লোক ভ্যাকসিনেটেড হয়ে গেছে। মৃত্যু ও সংক্রমণের সংখ্যা কমে গেছে। ফলে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক কর্মকা- ভালো আছে। বাংলাদেশ ভালো ইমেজ বিদেশে তৈরি হয়েছে, বাংলাদেশের ওপর কোনো জায়গায় নিষেধাজ্ঞা নেই। সব দিক থেকে ভালো আছি।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ওমিক্রন নিয়ে সবাই একটু চিন্তিত। আমরাও সতর্ক কিন্তু আমরা প্যানিক করবো না। আমরা জানতে পেরেছি, এটা খুব দ্রুত ছড়িয়ে যায়। সংক্রমণ হলেও এর লক্ষণ মৃদু। লক্ষণগুলো ডেল্টার মতো ভয়ানক নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যখন আমরা সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পেয়ে যাব, আপনাদের জানিয়ে দেবো। সে পর্যন্ত আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। অনেকে ভ্যাকসিন নিতে আসে না। আমরা আহ্বান জানানো ভ্যাকসিন আপনারা নেবেন। আমাদের কাছে এখনো ৪ কোটি ভ্যাকসিন আছে। ভ্যাকসিনের কোনো অভাব নেই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ২৪০ জনকে খুঁজে বের করতে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। এটা এক মাস আগের কথা, তারপরও আমরা ছাড়ছি না। সবাইকে খুঁজে বের করবো।

সরকার কঠোর হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকে ইরেসপন্সিবল। নিজের কথা ভাবে না, দেশের কথা ভাবে না। তারা হোটেল থেকে বের হয়ে গেছে। ঘুরা-ফেরা করেছে, বাড়িতে চলে গেছে সেটা আমরা জেনেছি। আমরা একটা কঠোর অবস্থানে যাব। পাসপোর্ট আটকে রাখবো প্রয়োজন হলে। সামরিক বাহিনীর তদারকিতে রাখবো, আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ টপ সুপারভিশনে রাখবে। যে হোটেল থেকে বের হয়ে যাবে, সেই হোটেলকেও আমরা পেনালটিতে নিয়ে আসবো।

করোনার বুস্টার ডোজ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বুস্টার ডোজের ঘোষণা আমরা দিয়েছি। এ জন্য পরিকল্পনা লাগবে। সেটা হতে যেটুকু সময় লাগে, তারপর আমরা কাজ শুরু করে দেবো।

উল্লেখ্য, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়। একটি প্রতিষ্ঠান এই সুযোগ নেয়নি। বাকী ছয়টি প্রতিষ্ঠান আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার করাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান হলো- গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড, স্টেমজ হেলথকেয়ার বিডি লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক। তেব যাত্রীদের চাপ বাড়ায় ৬টি প্রতিষ্ঠান দিয়ে বিদেশগামী যাত্রীদের আরটি-পিসিআর টেস্ট সামলানো সম্ভব হচ্ছে না। যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় টেস্টের জন্য। সম্প্রতি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল যথাসময়ে আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে না পাড়ায় একদিন ৬৫ জন, আরেকদিন ৭৯ জন যাত্রী বিদেশ যেতে পারেননি। যাদেরকে হোটেলে রেখে পরের দিন পাঠানো হয়েছে। এতে অনেক যাত্রী নানামুখী ভোগান্তীতে পড়ছেন। তাই ভুক্তভোগীদের দাবি ছিল বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর ল্যাব যেন বাড়ানো হয়। অবশেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিমানবন্দরে যাত্রীদের টেস্টের বিষয়টি পরিদর্শন শেষে এ ঘোষণা দিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন