বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পণ্য ও সেবা খাতে নিয়োগ বাড়িয়েছে নিয়োগদাতারা

নভেম্বরে বেকারত্ব হার ২০ মাসের সর্বনিম্নে যুক্তরাষ্ট্রে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

পণ্য ও সেবা খাতের চাঙ্গা চাহিদার ওপর দাঁড়িয়ে গত মাসে নতুন কর্মী নিয়োগ বাড়িয়েছে মার্কিন নিয়োগদাতারা। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত নভেম্বরে বেশির ভাগ খাতেই নতুন কর্মী নিয়োগ বেড়েছে। এতে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিটির বেকারত্ব হার ২০ মাসের সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। খবর রয়টার্স। কর্মসংস্থান উপাত্ত প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম মন্ত্রণালয় জানায়, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্ব হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া কর্মীদের ঘণ্টাপ্রতি বেতনও বেড়েছে। নিউইয়র্কভিত্তিক আইএনজির চিফ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিস্ট জেমস নাইটলি জানান, নতুন কর্মীদের চাহিদা বাড়ার বিষয়টি সুস্পষ্ট। তবে চাহিদার সঙ্গে জোগানের ঘাটতি রয়েছে। যদি জোগানে ইতিবাচক পরিবর্তন না আসে তাহলে আমরা শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব দেখতে পারি। রয়টার্সের এক জরিপে দেখা গেছে, অকৃষি খাতে গত মাসে ৫ লাখ ৫০ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ হয়েছে। অক্টোবরে নতুন কর্মী নিয়োগ হয়েছিল ৫ লাখ ৩১ হাজার। তৃতীয় প্রান্তিকে কিছুটা ধাক্কা খেলেও চলতি প্রান্তিকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে উৎপাদন খাত। এতে সুদহার বাড়ানোর মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। গত মাসে মার্কিন কর্মসংস্থানের ইতিবাচক এ উপাত্তে কিছুটা শঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে নভেল করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। ওমিক্রন সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত না জানায় এটা যে সার্বিক ব্যবসা খাতে প্রভাব ফেলবে সে শঙ্কা রয়েছে বিশ্লেষকদের। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অভিজ্ঞতা আমলে নিলে সামনের দিনগুলোতে সেবা খাতে কর্মী নিয়োগে শ্লথগতি দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন তারা। ওহাইওভিত্তিক অ্যাপটাস ক্যাপিটাল অ্যাডভাইজর্সের পোর্টফলিও ম্যানেজার ডেভিড ওয়েগনার বলেন, বাজারে যদি শ্রম চাহিদা সৃষ্টি না হয় তাহলে কোনো কোম্পানি নতুন কর্মী নিয়োগ দিতে চাইবে না। শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপাত্তে দেখা গেছে, নভেম্বরের মাঝামাঝিতে বেকারত্ব সুবিধার জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা মহামারী-পূর্ব সময়ের প্রায় কাছাকাছি নেমে এসেছে। বুধবার প্রকাশিত দি এডিপি ন্যাশনাল এমপ্লয়মেন্ট প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত মাসে বেসরকারি খাতে কর্মী নিয়োগ শক্তিশালী ছিল। ইনস্টিটিউট ফর সাপ্লাই ম্যানেজমেন্টের এক জরিপে দেখা গেছে, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থান সাত মাসের সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। অক্টোবরের ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেকারত্ব হার থেকে গত মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি বছরের জানুয়ারির তুলনায় তা ১ দশমিক ৮ শতাংশীয় পয়েন্ট কমেছে। সেপ্টেম্বর শেষে চলতি বছরে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ। শ্রমবাজারে ইতিবাচক পরিস্থিতির ওপর দাঁড়িয়ে কর্মীদের বেতন বাড়াচ্ছে কোম্পানিগুলো। ঘণ্টাপ্রতি বেতন বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। এতে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। গত অক্টোবরে দেশটির বেতন বৃদ্ধির হার ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে বেতন বৃদ্ধি সত্ত্বেও করোনাকালে যারা চাকরি হারিয়েছে তাদের আকৃষ্ট করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি। গত সেপ্টেম্বরে সরকারি সহায়তা তহবিল বন্ধ হলেও প্রায় ৩০ লাখ মার্কিনি শ্রমবাজারের বাইরে রয়েছেন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শেয়ারবাজার শক্তিশালী হওয়ায় এবং বাসাবাড়ির দাম বৃদ্ধিতে অনেক মার্কিনীর পকেটেই অর্থ গিয়েছে। ফলে অনেকে আগাম অবসরের সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন। অবকাশ ও আতিথেয়তা খাতের হাত ধরে নভেম্বরে কর্মসংস্থান বেড়েছে। অক্টোবরের ধারাবাহিকতায় নভেম্বরে কর্মসংস্থান চাঙ্গা হয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে অক্টোবরে যেখানে ৬০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে, সেখানে নভেম্বরে তা কিছুটা কমে ৪৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া টানা তিন মাস কমার পর সরকারি কর্মসংস্থানও বেড়েছে। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন