শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বেহাত হচ্ছে বায়তুল মোকাররমের রাস্তা

মসজিদে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে পার্ক নির্মাণ শুরু দুই মন্ত্রণালয়ের রশি টানাটানি মুসল্লিদের মাঝে চরম ক্ষোভ

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৬ এএম

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের মুসল্লিদের যাতায়াতের রাস্তা বেহাত হতে চলেছে। তেত্রিশ বছর পর হঠাৎ রাস্তার মালিকানা দাবি করে মসজিদের পূর্ব দিকের প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। বলা নেই কওয়া নেই রাস্তার ওপর পার্ক ও ড্রেন নির্মাণ কাজও শুরু করে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে মসজিদের পূর্ব দিক থেকে আগত হাজার হাজার মুসল্লি। সর্বসাধারণের চলাচলের রাস্তাটি দ্রæত খুলে দেয়ার পরিবর্তে এর মালিকানা নিয়ে রশি টানাটানি শুরু হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাঝে। এ নিয়ে জাতীয় মসজিদের মুসল্লিদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

বায়তুল মোকাররম শুধু বাংলাদেশেরই ঐতিহ্য নয়; এটি মুসলিম উম্মাহ’র একটি প্রতীক। মসজিদটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং মিনার ও সাহান নির্মাণের জন্য ইতোপূর্বে রাজকীয় সউদী সরকার প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সউদীর অর্থায়নে নির্মিত দক্ষিণ পার্শ্বের মিনার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্ত পূর্ব পার্শ্বের প্রস্তাবিত মিনার নির্মাণ কার্যক্রম অদ্যাবধি শুরু করা সম্ভব হয়নি।

সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম এইচ এম এরশাদ ১৯৮৮ সালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্বদিক থেকে আগত মুসল্লি এবং বিদেশি মেহমানদের মসজিদে যাতায়াতের সুবিধার্থে মসজিদের পূর্বদিকে একটি সংযোগ রাস্তা নির্মাণের নির্দেশ দেন। জাতীয় মসজিদের পূর্ব গেট থেকে রাজউকের রাস্তা পর্যন্ত দীর্ঘ সংযোগ সড়কটি ১৯৮৯ সালে নির্মাণ কাজ শেষ করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিকট তা বুঝিয়ে দেয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। ২০০৪ সালে এনএসি টাওয়ার নির্মানের সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ রাস্তাটির ওপর মালামাল রাখতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিকট লিখিত অনুমতি চায়। টাওয়ার নির্মাণ কাজ শেষ হলেও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তা খুলে দিতে গড়িমসি করতে থাকে। ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তৎকালীন মহাপরিচালক মো. ফজলুর রহমান এক চিঠিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যানকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুসল্লিদের যাতায়াতের রাস্তাটি শবেবরাতের পূর্বেই উন্মুক্ত করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেও কোনো সাড়া পাননি।

এর পর ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে কয়েক দফায় রাস্তাটি খুলে দেয়ার জন্য পত্র দেয়া হলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। সম্প্রতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সৌন্দর্যের নামে উক্ত রাস্তাটির ওপর পার্ক নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করেছে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে খোদ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান হতবাক। তার মৌখিক অনুরোধে বর্তমানের মুসল্লিদের যাতায়াতের রাস্তার ওপর পার্ক নির্মাণের কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। উল্লেখিত রাস্তাটির ৭ দশমিক ১৩ কাঠা জায়গার মালিক সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড। তাদের কাছ থেকেও কোনো অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃপক্ষ। পূর্ব দিকের উল্লেখিত রাস্তার ওপর ক্রীড়া পরিষদের পার্ক নির্মিত হলে জাতীয় মসজিদের হাজার হাজার মুসল্লির যাতায়াত চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মুহাম্মদ সরওয়ার জাহান রাস্তাটি ক্রীড়া পরিষদের দাবি করে সম্প্রতি ইনকিলাবকে বলেন, ২০১৯ সালের ২৫ জুন একনেক সভায় ৯ হাজার ৮শত ৩৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। উল্লেখিত প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থায়নেই রাস্তার ওপর পার্ক ও সৌন্দর্যকরণের কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন রাস্তাটির ৭ দশমিক ১৩ কাঠা জায়গার মালিকানা সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে সকলেই এর সুবিধা পাবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাঝে এ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চলছে বলেও পরিচালক জাহান জানান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পূর্বদিকের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। রাস্তার মালিকানা দাবি করে মসজিদের প্রবেশ পথ দখল করে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে তারা। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন দৈনিক বাংলা, মতিঝিল, ফকিরাপুল, আমারবাগ এবং দিলকুশাসহ পূর্র্বদিক থেকে আগত মুসল্লিরা। এ নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বায়তুল মোকররমের মুসল্লিদের মাঝে। যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বায়তুল মোকররমের মুসল্লিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মন্ত্রী পর্যায়ে টেলিফোনে কথোপকথন হয়েছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্বদিক থেকে আগত মুসল্লি এবং বিদেশি মেহমানদের মসজিদে যাতায়াতের সুবিধার্থে সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম এইচ এম এরশাদ ১৯৮৮ সালে একটি রাস্তা নির্মাণের নির্দেশ দেন। মসজিদের পূর্ব গেট থেকে রাজউকের রাস্তা পর্যন্ত দীর্ঘ সংযোগ সড়কটির প্রায় ৭ দশমিক ১৩ কাঠা জায়গার মালিকানা ছিল সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের। মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য উক্ত স্থানটি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে প্রয়োজনীয় মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ মূল্য পরিশোধে বিলম্ব করায় গণপূর্ত অধিদফতরকে সংযোগ সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়। গণপূর্ত বিভাগ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ১৯৮৮ সালে ৮৪ লাখ ৩৩ হাজার ৯১৩ টাকা ব্যয়ে মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করে ১৯৮৯ সালের ৬ নভেম্বর তা ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে বুঝিয়ে দেয়। উক্ত সড়কে দুই পার্শ্বের ডিজাইন মসজিদের মূল গেটের ডিজাইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে মুসল্লিরা উক্ত সড়ক ব্যবহার করে আসছেন।

১৯৯৫ সালের মে মাসে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বায়তুল মোকাররম মসজিদের জন্য সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ৭ দশমিক ১৩ কাঠা জমির ওপর নির্মিত রাস্তাটির মালিকানা কল্যাণ বোর্ডের অনুকূলে থাকবে। রাস্তা দেখাশুনা করবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। রাস্তাটি কল্যাণ বোর্ডের শপিং কমপ্লেক্স এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুসল্লিরা যৌথভাবে ব্যবহার করবেন।

২০০৪ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এনএসসি টাওয়ার নির্মাণের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিকট মুসল্লিদের যাতায়াতের জায়গাটিতে মালামাল রাখার অনুমতি চায়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তৎকালীন সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ২০০৭ সালের ৩ এপ্রিল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত এক চিঠিতে এনএসসি টাওয়ার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে রাস্তা বুঝিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ২০০৭ সালে উক্ত টাওয়ার নির্মাণ শেষ হলেও তারা রাস্তাটি খুলে দিতে গড়িমসি করতে থাকে। ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর ইসলামিক ফাউন্ডেশন গণপূর্ত অধিদফতরের মাধ্যমে ৬১ লাখ ১ হাজার ৪৮১ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। কিন্ত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাতে বাধা দেয়ায় রাস্তা মেরামত কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ উক্ত সমস্যা নিরসনের কোনো প্রকার সহযোগিতা না করায় ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভায় তৎকালীন ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান বলেন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুসল্লিদের চলাচলের সুবিধার্থে সাবেক প্রেসিডেন্ট এর ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব দিক থেকে রাজউক এভিনিউ পর্যন্ত রাস্তাটি নির্মিত হয়। তখন সাবেক প্রেসিডেন্টের সাথে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন।
ওই সভায় বলা হয়, রাস্তার জমির মালিকানা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড দাবি করলেও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কথা বিবেচনা করে এ জায়গা কোনো সংস্থাকেই ফেরৎ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বরং রাস্তাটি জরুরিভাবে সংস্কার করা প্রয়োজন। সে জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে গণপূর্ত অধিদফতর রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

এছাড়া রাস্তারও ওপরে আবর্জনার স্তূপ, অবৈধ স্থাপনা অপসারণ এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাস্তার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে গেলে ক্রীড়া পরিষদের বাধার কারণে তা’ ব্যাহত হয়। ফলে রাস্তাটি আজো ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হয়নি।

সম্প্রতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ রাস্তাটির মালিকানা দাবি করে স্থায়ীভাবে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন মতিঝিল দিলকুশাসহ পূর্বদিক থেকে আগত মুসল্লিরা। পরিস্থিতি গুরুত্ব তুলে ধরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মুশফিকুর রহমান গত ১১ নভেম্বর জাতীয় মসজিদের ভাবমর্যাদা এবং মুসল্লিদের কষ্ট লাঘবে রাস্তাটি খুলে দেয়ার জন্য পত্র দিয়েছেন। কিন্ত তাতে কোনো ফল হয়নি।

সাময়িকভাবে ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এ জায়গা স্থায়ীভাবে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ করছেন বলে জানা গেছে। আর স্থায়ীভাবে পাওয়ার আগে তা দখলে নিয়ে মুসল্লিদের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এ নিয়ে বায়তুল মোকররমের মুসল্লিদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

গোলাম কাদের নামক একজন মুসল্লি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, দীর্ঘদিন যাতায়াতের রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত এ সংযোগ সড়কটি হঠাৎ বন্ধ করে দেয়ায় আমাদের বহু দূর দিয়ে ঘুরে মসজিদে আসতে হচ্ছে। এ সংযোগ রাস্তাটি খুলে দিতে হবে। সৈয়দ নূর নামক একজন মুসল্লি বলেন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বায়তুল মোকাররমে প্রবেশের রাস্তাগুলো হয় বন্ধ করে দেয়, নতুবা গাড়ী প্রতি ইজারাদারের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করে। ফলে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দে গাড়ী নিয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে আসতে পারে না। তিনি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আগত মুসল্লিদের যাতায়াতের পুরোনো রাস্তার উন্নয়নসহ উন্মুক্তকরণ এবং সেখানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পার্ক নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক গভর্নর এবং বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির সভাপতি আলহাজ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, সর্বসাধারণের চলাচলের রাস্তা কখনোই বন্ধ করা যায় না। বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব দিকের মুসল্লিদের যাতায়াতের রাস্তাও কখনো বন্ধ করা যাবে না। তিনি বলেন, ক্রীড়া পরিষদ তাদের বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য শুধু মালামাল রাখার জন্য রাস্তাটি ব্যবহারের অনুমতি নেয়। ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হবার পর মুসল্লিদের যাতায়াতের রাস্তা ছেড়ে দেয়ার অঙ্গিকার করেছিল। মুসল্লিদের যাতায়াতের রাস্তা দখলের পাঁয়তারা কোনো ভাবেই বরদাশত করা হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বায়তুল মোকারমের রাস্তা দখল করে পার্ক নির্মাণ কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। তিনি দুই মন্ত্রণালয়ের রশি টানাটানি বন্ধ করে মুসল্লিদের সুবিধার্থে পূর্বদিকে যাতায়াতের রাস্তা অবিলম্বে খুলে দেয়ার দাবি জানান। মুসল্লিদের রাস্তায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পার্ক নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে আগামী শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
MD Shahinoor Tuhin ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৪৯ এএম says : 0
পৃর্বদিকে ঢাকা মোহমেডান স্পোটিং এর ক্লাব ছিল যদি তাই হয় সে ক্ষেত্র পৃর্বদিকে জায়গায়র মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। জাতীয় মসজিদের সুন্দরয বর্ধন কাজ করতে হয় তাহলে অবশ্যই পৃর্বদিকে মসল্লিরদের গেইট প্রয়োজন ।
Total Reply(0)
Akther Hossain ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৫০ এএম says : 0
কিরা পরিষদ ভবন কে ঢাকার বাইরে স্থানান্তর করা দরকার, এই স্থানে স্থায়ী ভাবে মসজিদের জন্য গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা দরকার।
Total Reply(0)
Hozaifa Bin Sadeque ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৫০ এএম says : 0
এসব হচ্ছে ধর্মপ্রান মানুষদেরকে উস্কানি দেয়া।
Total Reply(0)
মোঃ কামরুজ্জামান ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৫২ এএম says : 0
মসজিদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে পার্কিং বানানোর সাহস পেল কোথা থেকে।
Total Reply(0)
নিজাম ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৫২ এএম says : 0
এখান থেকে ক্রিড়া পরিষদকে স্থানান্তর করা হোক।
Total Reply(0)
কায়কোবাদ মিলন ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৫৩ এএম says : 0
বায়তুল মোকাররমের জায়গা জরুরি ভিত্তিতে দখলমুক্ত করা হোক। নাহলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়বে।
Total Reply(0)
সত্য উন্মোচন ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৫৪ এএম says : 0
নিউজটি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। আসুন সবাই প্রতিবাদ করি।
Total Reply(0)
মুহাম্মদ মুহিদুজজামান ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৫৪ এএম says : 0
মসজিদের জায়গা দখল করে পার্ক নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।
Total Reply(0)
Ashraf uz zaman ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:৫৫ এএম says : 0
অন্তত মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘদিন পরে হলেও এই উদ্যোগ কে ভালো হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া উচিৎ:-:কারণ উল্লেখিত স্থানটি আবর্জনার স্তূপ,ভ্যান গাড়ীর গ্যারেজ ও ঢাকা জেলার বাইরে থেকে আসা কয়েকটি বাসের জন্য অলিখিত টার্মিনাল সহ একাধিক খাবারের বাজার ও নেশাগ্রস্তদের আস্তানা হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে:-:এখানকার পরিবেশের কারণে মুশল্লীদের চলাচল এমনিতেই ছিল নগণ্য সংখ্যক।। অতএব পার্ক তৈরি করা হলে দুই পাশ দিয়ে মুসল্লিদের চলাচলের পথ তৈরি করে দিলেই সব ধরনের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন