শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পাহাড়ে আইপি ক্যামেরায় ঘেরা খাদিজার আস্তানা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

মূল সড়ক থেকে ২০ মিনিট হাঁটার পথ পাহাড়। সে পাহাড়ে আলিশান বাড়ি। বাড়ির আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে অত্যাধুনিক আইপি ক্যামেরা। সেই ক্যামেরার লিংক রেখেছেন নিজের মোবাইলে। ঘরে বসেই মোবাইলে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। আবার নিজস্ব বাহিনীর লোকজন বাসার আশপাশে পাহারায় থাকে। এ ‘সা¤্রাজ্যের’ মালিক খাদিজা বেগম (৪২)। তাকে ইয়াবাসহ গ্রেফতারের পর তার অপরাধ জগৎ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, খাদিজা বেগম আলাদা-আলাদা নারী ও কিশোর গ্যাং পরিচালনা করেন। মাদক বিক্রি, পাহাড়ে জমি দখল, জুয়ার আসর পরিচালনা এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের জন্য ভাড়ায় নারী ও কিশোরদের সরবরাহসহ নানা অপরাধে জড়িত। দীর্ঘসময় ধরে নানা অপরাধে যুক্ত হলেও পুলিশের কাছে তার নামে কোনো অভিযোগ নেই। ফলে নিজেকে এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরেই রাখতে পেরেছেন এই নারী।
শনিবার রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার রউফাবাদ খালপাড় থেকে খাদিজা বেগমকে এক হাজার ১৭০টি ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। খাদিজার স্বামী, মেয়ে এবং জামাতাও মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ২৩ নভেম্বর খাদিজার মেয়ে ও জামাতা ইয়াবাসহ গ্রেফতার হন।
মেয়ে-জামাতার সূত্র ধরে খাদিজা গ্রেফতার হয়েছে জানিয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, খাদিজার বিরুদ্ধে থানায় সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। মৌখিক কিছু অভিযোগ আছে। তবে মেয়ে ও জামাতার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খাদিজার বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। খাদিজা পাহাড়ের ভেতরে এমন এক এলাকায় বাড়ি বানিয়েছে, যেখানে রউফাবাদ থেকে হেঁটে যেতে অন্তত ২০ মিনিট লাগে। অভিযানে শুরুতেই খাদিজাকে আটক করা হয়। তবে তার স্বামী আবদুল মান্নান পাহাড়ে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ওসি বলেন, নারী ও কিশোরদের নিয়ে খাদিজা কয়েকটি বাহিনী তৈরি করেছেন। এসব বাহিনীতে অন্তত ৫০ জন নারী ও কিশোর রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত খাদিজা। বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে নগরীর বিভিন্নস্থানে ইয়াবা সরবরাহ করে। নিজ বাসায় দিনরাত জুয়ার আসর বসায়। পাহাড়ে সরকারি খাস জায়গা দখল করে বিক্রি করে। বিরোধপূর্ণ জায়গার দখল নিয়ে দিতে বাহিনীর সদস্যদের সরবরাহ করে। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, খাদিজার সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। এ কারণে তার অপরাধের খবর এতদিন ধামাচাপা ছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন