ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদনের জন্য নূন্যতম দু’টি বিভাগ থাকার আরোপিত শর্তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে একই সঙ্গে উভয় শ্রেণীকে এমপিওভুক্তির আবেদনের সুযোগ কেন দেয়া হবে না-এই মর্মেও রুল জারি করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ), মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদেরকে পরবর্তী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন জেলার ডিগ্রি কলেজের ২৯১ জন প্রভাষক ও কর্মচারীর করা পৃথক তিনটি রিটের শুনানি শেষে গতকাল রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রুলের বিষয়ে মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। উক্ত নীতিমালার পরিশিষ্ট ‘খ’ এর পাদটীকা অনুসারে স্নাতক (পাস) কলেজ এমপিওভুক্তির জন্য নূন্যতম ২টি বিভাগ চলমান থাকার কথা বলা হয়। যেহেতু রিটকারীদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি বিভাগ চালু রয়েছে, তাই তারা দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার পরও এমপিওভুক্তির আবেদন করতে পারেননি। এমপিওভুক্তির আবেদন করা রিটকারীদের আইনগত অধিকার। কিন্তু উপরোক্ত শর্তের কারণে তারা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন।
মো. নুর আলম ছিদ্দিক, মৃণাল কান্তি রায়, মো. হারুন অর রশিদ, মো. এমরানুল হাসান, মো. ওসমান গনি মো. জিলহক, মো. মনিরুল ইসলাম, সুকদেব সরকার ও মো. খলিলুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলার ২৯১ জন ভুক্তভোগী রিটটি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন