নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তারা।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৫ ডিসেম্বর। ২০ ডিসেম্বর বাছাই, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৭ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ ১৬ জানুয়ারি।
২০১১ সালে সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এটি হচ্ছে তৃতীয় নির্বাচন। প্রথমবার ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএমে, বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। ২০১৬ সালে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে এবং এবার ভোট হবে ইভিএমে। প্রথমবার নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হয় এই সিটিতে। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন চালুর পর এটি দ্বিতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
মনোনয়নপত্র নেওয়ার পর এসময় সাখাওয়াত বলেন,আমি মনোনয়ন নিয়েছি। নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে ভোটারদের শঙ্কা আছে। যদি মানুষ রায় দিতে পারেন তবে নারায়ণগঞ্জবাসী তাদের রায়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন ইনশাআল্লাহ। আমি আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। ইভিএমের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন আর তাদের গায়ে কালিমা লাগাবেন না। আমি ইভিএম প্রত্যাহার করে স্বচ্ছ ব্যলটের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবী জানাচ্ছি।
মনোনয়নপত্র নিয়ে বের হয়ে এটিএম কামাল জানান, আমার দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে না গেলে আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করব। দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছে এই আওয়ামী লীগ। তবুও আমি নির্বাচনে টেস্ট কেস হিসেবে অংশ নিচ্ছি যদি মানুষ তাদের রায় দিতে পারেন তবে মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেবেন।
তিনি আরোও বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জে আমার দলের যারা সিনিয়র নেতা আমাদের জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের সাথে কথা বলেছি, মহানগরের সভাপতি আবুল কালামের সাথেও কথা বলেছি গিয়াসউদ্দিন সাহেবের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। আমি এই তিনজনেরই অনুমতি চাই, সহযোগিতা চাই। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যদি নির্বাচন করতে দলের কোন বাধা না থাকে এবং তাদের যদি আমার প্রতি সমর্থন থাকে তাহলে নির্বাচন করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন