পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশেকে নিশ্চিত করেছেন যে, ব্লাসফেমির অভিযোগে অভিযুক্ত এবং গণপিটুনিতে হত্যার শিকার পাকিস্তানে কর্মরত শ্রীলঙ্কার নাগরিক প্রিয়ান্থা কুমারা দিয়াওয়াদানার হত্যাকারীরা ক্ষমা পাবে না। রাষ্ট্রপতির দপ্তর আজ এ তথ্য জানায়।
প্রেসিডেন্টের দপ্তর আজ রবিবার জানায়, পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে রাজাপাকশেকে জানান, এই বিষয়ে এ পর্যন্ত ১১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। সব ভিডিও ফুটেজ এবং হত্যা-সংশ্লিষ্ট সব তথ্যাদি নিরাপত্তা বাহিনী তাদের হেফাজতে নিয়েছে।
ইমরান খান বলেন, প্রিয়ান্থা দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে সেবা দিয়ে আসছিলেন। তাঁর পেশাদারিত্ব তুলনারহিত। শুক্রবারের সেই মর্মান্তিক ঘটনায় কট্টরপন্থী তেহরিক-ই-লাব্বাইক এর সমর্থকরা ওই গার্মেন্ট কারখানায় হামলা চালায় এবং এর জেনারেল ম্যানেজার প্রিয়ান্থাকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দেয়।
এর মধ্যেই পাকিস্তান সরকারের ওপর চাপ পড়ছে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য। প্রায় ৮০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৩ জন প্রধান সন্দেহভাজন। এর মধ্যে ১১৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রিয়ান্থা কুমারা দিয়াওয়াদানা শ্রীলঙ্কার পেরাদেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। তাঁর স্ত্রী ও দুটি সন্তান আছে। তিনি ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পাকিস্তানে যান। সেখানে ২০১২ সাল থেকে তিনি শিয়ালকোটের ওই কারখানায় ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। লাহোর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের শিয়ালকোটের রাজকো ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি জেনারেল ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। ওই কারখানাটি তৈরি পোশাক ও স্পোর্টসওয়্যার প্রস্তুতকারী।
শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্র রাজাপাকশে আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁর কথা রাখবেন এবং এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার যথোপযুক্ত বিচার হবে। সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন