বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দুর্নীতির কালো হাত ভেঙে ফেলতে হবে

জামিন শুনানিকালে হাইকোর্টের মন্তব্য অর্থ পাচারে বিএফআইইউ-সিআইডির পদক্ষেপ জানতে চান আদালত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

দুর্নীতির কালো হাত ভেঙে ফেলতে হবে। দুর্নীতিবাজদের কোনো ছাড় নেই। গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা লুট করেছেন এক ব্যক্তি। তার জামিন শুনানিকালে আদালত উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আদালত বলেন, কোনো দুর্নীতিকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। দুর্নীতির কালো হাত ভেঙে ফেলতে হবে। দুর্নীতির বিষয়ে আমরা খুবই কঠোর। দুর্নীতিবাজদের কোনও ছাড় নেই। পরে আদালত আবেদনটি খারিজ করে দেন।

এ সময় আবেদনকারীর পক্ষে অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে অ্যাডভোকেট এম.এ. আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা ব্যাংকের পক্ষে অ্যাডভোকেট সাদিয়া আফরিন এবং সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক শুনানিতে অংশ নেন। শুনানিকালে আদালত ব্যাংকের ভল্ট থেকে কিভাবে টাকা উধাও হয়-এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছর জুন মাসে বেসরকারি ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্ট থেকে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায়। শাখার ইন্টারনাল অডিটে ১৭ জুন টাকা গায়েব হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে এ ঘটনায় ১৮ জুন ব্যাংকটির দুই কর্মকর্তাকে পুলিশে দেয়া হয়। তারা হলেন ঢাকা ব্যাংকের শাখা ক্যাশ-ইনচার্জ রিফাজুল হক, ম্যানেজার (অপারেশন) এমরান আহমেদ।

এদিকে অর্থ পাচারকারী হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন আগের দিন যে তালিকা দাখিল করেছে তাদের বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছেন একই আদালত। বিশেষ করে অর্থপাচারকারী হিসেবে ‘প্যারাডাইস’ ও ‘পানামা পেপার্স’-এ যেসব বাংলাদেশীর নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং সিআইডি কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এসব তথ্য আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্টকে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সময় দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান এবং সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে পূর্ব নির্দেশনা অনুসারে গত ৫ ডিসেম্বর অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৯ ব্যক্তি ও ১৪টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করে দুদক। প্রতিবেদনটির ওপর শুনানি শেষে এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিএফআইইউ ও সিআইডি কী পদক্ষেপ নিয়েছে- হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন