বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিভিন্ন এলাকা হানাদার মুক্ত হতে থাকে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

মুক্তিপাগল বাঙালিদের কাছে চারদিক থেকে বিজয়ের খবর আসতে থাকে। সর্বত্র পর্যুদস্ত হতে থাকে পাক হানাদাররা। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। চারিদিকে উড়ছে মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের রক্তস্নাত স্বাধীন পতাকা। ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ হানাদারমুক্ত হয় গৌরিপুর, ফেঞ্চুগঞ্জ, চুরখাই, ছাতক, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, লালমনিরহাট ও ঝিনাইদহসহ বহু এলাকা।

একাত্তরের ডিসেম্বরের আজকের দিনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় সহযোগিতা চুক্তি। মুক্তিবাহিনী ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কমান্ডে পরিচালিত হয়।

তিনি জেনারেল মানেকশ’র মাধ্যমে উভয় সরকার প্রধানকে রিপোর্ট করবেন বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যশোর মুক্ত হয় একাত্তরের এই দিন সকালে। সিলেট মুক্ত হয় বিকেলে। বহু পাক সেনা আত্মসমর্পণ করে সেখানে। পাক সেনারা সুনামগঞ্জ থেকে পিছু হটে। বিনা যুদ্ধে মুক্ত হয় সুনামগঞ্জ। মৌলভীবাজার জেলা মুক্ত হয় এদিন।

মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর সাথে কালেঙ্গায় পাক বাহিনীর প্রচন্ড লড়াই হয়। পাক সেনারা অবস্থান থেকে পিছু হটে। ভারতের পথ ধরে প্রতিবেশী দেশ ভুটানও ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশেকে স্বীকৃতি দেয়। অন্য দিকে ভারত সরকার বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান করায় পাকিস্তান সরকার ভারতের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের জিওসি লে. জে. আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজীর পরামর্শে জেনারেল ইয়াহিয়া খানকে যুদ্ধ পরিস্থিতির ওপর জরুরি বার্তা পাঠান গভর্নর ডা. এম এ মালিক। বার্তায় রাজনৈতিক সমাধানের পরামর্শ এবং যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়া হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মার্কিন প্রতিনিধি দুইবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তোলেন; কিন্তু দুইবারই সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো দেয়। ফলে বাতিল হয়ে যায় সে প্রস্তাব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন