তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সাম্প্রতিক আলোচিত মন্তব্যকে ‘তার ব্যক্তিগত বিষয়’ বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ ওবায়দুল কাদের। তবে আর এই বক্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা সিটির মেয়র-কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত মন্তব্য হতে পারে। আমাদের দলের বা সরকারের কোনো বক্তব্য বা মন্তব্য না। এই ধরনের বক্তব্য কেন সে দিল, অবশ্যই আমি বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব।
তথ্য প্রতিমন্ত্রীর ‘নারী বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্যে দল বা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত মন্তব্য হতে পারে।
এ সময় কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব আবোলতাবোল বলতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছেন। তারা ক্ষমতা দখলের যে দিবাস্বপ্ন দেখছেন তা দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখনো স্বাধীনতাবিরোধীরা তৎপর। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির গণতন্ত্র কারফিউ গণতন্ত্র, তামাশার গণতন্ত্র। তাদের বর্ণচোরা গণতন্ত্রে দেশের মানুষ আর ফিরে যাবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনবেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে বিএনপি রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।
‘খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপি’র লোকজন, তার গৃহপরিচালকরা, তাদের চিকিৎসকরা তার আশে পাশে থাকে। আওয়ামী লীগের লোকজন কীভাবে স্লো পয়জনিং করবে। এটা হাস্যকর ব্যাপার।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ সফলভাবে পালনের লক্ষ্যে ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে সারা জাতিকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।
এ ছাড়াও কর্মসূচির কথা তুলে ধরে তিনি জানান, ১৬ ডিসেম্বর সকালে সাভার ও বঙ্গবন্ধু ভবনে আওয়ামী লীগসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মী শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। ১৭ ডিসেম্বর সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটায় শিখা চিরন্তন থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা করবে আওয়ামী লীগ।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ, মির্জা আজম, এসএম কামাল ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন