বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দশ কোটি টাকা দিতে হাইকোর্টের রুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৮ এএম

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র লক্ষ্মীপুরের তামীম ইকবালের (১২) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনায় চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ৫ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তাকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের কেন নির্দেশ দেয়া হবে নাÑ এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে।
শিশুর বাবা সাহাদাত হোসেনের রিট শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ আদেশ জারি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া। জ্বালানি সচিব, পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের চেয়ারম্যান, লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পল্লী বিদ্যুতের অবহেলায় পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তামিম গুরুতর আহত হয়। দুই মাস ধরে সে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাম হাত পুরোপুরি কেটে ফেলা হয়েছে। ডান পায়ের দু’টি আঙুলও কেটে ফেলতে হবে। ঝলসে যাওয়া শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরেছে। মাথার আঘাতও গুরুতর।
গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় তামীমের মা আমেনা বেগম পল্লী বিদ্যুতের অবহেলার কারণে তার সন্তান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে-এমন অভিযোগ এনে সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান। তামীম রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর টবগী গ্রামের দিন মজুর শাহাদাত হোসেনের পুত্র। সে স্থানীয় কাটাবনিয়া সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মেঘনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর চর টবগী গ্রামের একটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। এরপর থেকে ওই খুঁটির বিদ্যুতের তারগুলো এলোমেলোভাবে নদীর পাড়ে পড়ে থাকে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা রামগতির পল্লী বিদ্যুৎকে অবগত করলেও তারা ঘটনাস্থলে আসেনি। দু’দিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর স্কুল ছাত্র তামিম নদীতে গোসল করতে গেলে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারাত্মক আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে রামগতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই দিন রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। তামীম এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন