তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। মুরাদকে পদত্যাগের নির্দেশ দেয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে নেটিজেনরা।
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে ধর্ষণের হুমকি সম্বলিত অডিও ফাঁস ও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে বেশ কয়েকদিন ধরে তোপের মুখে মুরাদ হাসান। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবারের এক সদস্যকে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ‘নারীবিদ্বেষী’ বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
পদত্যাগের নির্দেশ দেয়া প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ্যাড.তারানা হালিম ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। মুরাদ হাসান, আপনি কর্মক্ষেত্রে যা করেছেন তা conflict of interest, আপনি যে ভাষায় কথা বলেছেন তা বিকৃত রুচির,অশালীন,নারীর প্রতি অবমাননাকর, আপনি দলের ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষু্ণ্ণ করেছেন, শাস্তি আপনার প্রাপ্য। রাসুলে করিম (সা:) বলেছেন- “ভালো মানুষ নারীকে সম্মান করে ।” তাই আপনি দোষী থাকবেন দুনিয়াতে ও আখেরাতে। আমরা যারা দলকে ভালোবাসি তারা জানি এই সিদ্ধান্ত নেবার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কঠিন ,কঠোর হতে হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যার কাছ থেকে এটাই আশা করি আমরা। ভবিষ্যতে সব লুটেরা, ঘুষখোর, লম্পটদের বিরুদ্ধে আপনার এমন কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত থাকুক। এই দৃষ্টান্ত যেন সকলের জন্য শিক্ষার কারণ হয়।’
চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তারও লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক, বরেণ্য লেখক-কলামিস্ট ড. আসিফ নজরুল লিখেছেন, ‘তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ধন্যবাদ। এই মুরাদ হাসানের উপযুক্ত বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার আদেশও আপনি প্রদান করবেন বলে আশা করি। এটাও আশা করি রাজনীতির সকল স্তরে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার বন্ধ হবে।’
সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘মুরাদকে মন্ত্রীসভা পদত্যাগের নির্দেশ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। এমন একজন লোক তার রাজনৈতিক ও সংসদীয় দলে থাকার যোগ্যতা রাখেন কীনা সেটিও বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ করছি। একই সাথে আশা করি, তার এই অসভ্য আচরণের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেও তিনি ত্রুটি রাখবেন না।’
আরিফ আহমেদের দাবি, ‘শুধু মন্ত্রীসভা থেকে বহিষ্কার নয়, মুরাদকে অবিলম্বে জাতীয় সংসদ থেকে বহিষ্কার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
এমডি আবু চৌধুরী মনে করেন, ‘আইনের আওতায় এনে কঠিন শান্তি দেওয়া হউক, যেন কেউ দায়িত্বশীল পদে থেকে এই ধরনের কথা বলার সাহস না পায়, তাতে সরকার এবং দলের ভাবমূর্তি আরও বাড়বে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন