শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দ্রুত ছড়ালেও ভয়ঙ্কর নয় ওমিক্রন-ড. বিজন কুমার শীল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

ধারণার চেয়েও দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। যা ইতিমধ্যে ৪৫টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। তবে ডেল্টা ধরনের মতো এটি ভয়ঙ্কর নয়। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন ডেল্টা-ওমিক্রন ভিত্তিক-বিজ্ঞান, নৈতিকতা ও বৈষম্য বিষয়ক এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থিাণ করেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. বিজন কুমার শীল। তিনি বলেন, ওমিক্রনকে ভয়ংকর ভাবার কারণ এর মিউটেশন। এখন পর্যন্ত ডেল্টা ধরনের সর্বোচ্চ ১৫টি মিউটেশন হয়েছে। সেখানে ওমিক্রনের হয়েছে ৫০টি। যার ৩২টি স্পাইক প্রোটিন। যা দিয়ে সে মানুষকে খুব স্বল্প সময়ে সংক্রমিত করে। এতে করে ধরনটি শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি টিকার কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। এ জন্যই মনে করা হচ্ছে, হয়তো ওমিক্রন ডেল্টার চেয়েও ভয়ানক হবে। তিনি বলেন, ফিউরিন নামক একটি প্রোটিন পুরো ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। এটি সার্সকোভ-১ এ ছিল না, তবে সার্সকোভ-২তে আছে। এখন এটি যদি আরও বিস্তার লাভ করে তাহলে ডেল্টার চেয়েও মারাত্মক হতে পারে। এখনো ডেল্টার মত আতঙ্কিত করার মত অবস্থায় যায়নি ওমিক্রন। তবে এটাই শেষ নয়, খারাপ হতে পারে। আফ্রিকা থেকে অন্যান্য দেশে শনাক্তের পর এটি আরও শক্তিশালী হয়েছে, সংক্রমণ যত বাড়বে ততটাই এটি মারাত্মক হতে থাকবে। এই গবেষক বলেন, ইতিমধ্যে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তারা অনেকটা সুরক্ষিত। তবে এর বিপরীতে টিকার কার্যকারিতা কতটুকু সেটি সম্পর্কে এখনো পর্যালোচনা চলছে।
এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, একদিনের লকডাউনে তিন হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। অথচ যদি বিনা টাকায় নমুনা পরীক্ষা হতো, প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা করাতে পারতাম তাহলে অর্থনীতি সচল থাকত। এই দেশে এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের অর্ধেক বেলা খাবারে জন্য কাজ ফেলে আসা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে পরীক্ষার জন্য মানুষকে টাকা দিতে হবে, তবেই আমরা লকডাউন নামক এই জঞ্জাল থেকে মুক্তি পাব। তিনি বলেন, দেশের ১৫ কোটি মানুষকে ৩০ কোটি মাস্ক বিনামূল্যে দিতে কি সমস্যা। সাদা-লাল রংয়ের দুই ধরনের মাস্ক দিয় বিশেষ ব্যবস্থায় প্রতিটি শহরে সাত দিনের মধ্যে মানুষকে সচেতন করা যায়। ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু করেন, এতে সরকারে পদক্ষেপ সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে। তিনি বলেন, নিবন্ধন ছাড়া প্রায় কোটির মত বয়স্ক মানুষ এখনো টিকার বাইরে। আমাদের বুঝতে হবে ঝুঁকি কার বেশি। ঝুঁকিতে থাকা মানুষের টিকা নিশ্চিত না করে নিচে নেমে আসা, বুস্টার ডোজ দেওয়া অনৈতিক, এটা বিজ্ঞান সম্মত নয়। যেখানে মৃতদের বেশির ভাগেই বয়স্ক, সেখানে তারা টিকার বাইরে থাকার কোন কারণ নেই।
গণস্বাস্থের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজনও সাইন্স (বিজ্ঞান) পড়েনি। মন্ত্রী সাহেবও বিজ্ঞান বোঝেন না, সেক্রেটারি সাহেবও কোনোদিন বিজ্ঞান পড়েছেন কিনা জানি না। অথবা এখানে লেনদেনের সুবিধা নেই বলে তাদের সময় নেই। ওনাদের উৎসাহ অনেক বেশি টিকা কেনায়। প্রায় ১৪ ডলার দিয়ে তারা টিকা কিনেছেন বিমান ভাড়া ছাড়াই। তিনি বলেন, আমাদের (গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র) একটাই অপরাধ আমরা কিট নিয়ে ব্যবসা করতে চাইনি। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ব্যবসা একটি অত্যন্ত ঘৃণ্য অপরাধ। খালেদা জিয়াকে জেলে রাখার থেকেও স্বাস্থ্য নিয়ে ব্যবসা খারাপ অপরাধ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Tareq Anam ৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩:৪৯ এএম says : 0
Thanks a lot for this information
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন