শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সিপিইসি প্রকল্পের অধিকাংশই সম্পন্ন হয়েছে: দূত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫:৩৮ পিএম

চীনা কনসাল জেনারেল লি বিজিয়ান।


চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পের বেশিরভাগই সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার এই তথ্য জানিয়েছেন করাচিতে নিযুক্ত চীনা কনসাল জেনারেল লি বিজিয়ান।

কোরাঙ্গি অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেএটিআই) সফরের সময়, সিনিয়র কূটনীতিক জানান যে, পাকিস্তান-চীন সম্পর্ক কেবল সিপিইসিতে সীমাবদ্ধ ছিল না, যদিও এটি আঞ্চলিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ‘সিপিইসি প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই সম্পন্ন হয়েছে, গোয়াদর এই অঞ্চলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সিপিইসি পাকিস্তান-চীন বন্ধুত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তবে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়সহ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এর চেয়ে অনেক গভীর,’ তিনি উল্লেখ করেন।

বিজিয়ান পাকিস্তানের নিম্ন-আয়ের শ্রেণীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং মন্তব্য করেছেন যে, পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক অসুবিধা থেকে বের করে আনার প্রচেষ্টা চলছে। কেএটিআই সভাপতি সালমান আসলাম বলেন, চীন পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। ‘সিপিইসি প্রকল্পগুলো উভয় দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ,’ তিনি যোগ করেন।

চীনা কূটনীতিক কেএটিআই কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন যে, চীন একটি বিমানবন্দর, একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং গোয়াদর বন্দর সহ বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে। তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন যে, সিপিইসির কারণে পাকিস্তানের বিদ্যুৎ সংকট প্রশমিত হয়েছে।

বিজিয়ান ঘোষণা করেন, ‘গোয়াদর বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০২৩ সালের মধ্যে, বিমানবন্দরটি তার কার্যক্রম শুরু করবে।’ তিনি জানান, গোয়াদরে একটি হাসপাতালও নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এটি পরের বছর কাজ শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তানি শিল্পপতি এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য চীনে প্রচুর বাণিজ্য সুযোগ রয়েছে। ‘চীনের জনসংখ্যার ৫০ কোটি মধ্যবিত্ত, যা পাকিস্তানের জন্য একটি বড় বাজার হতে পারে। পাকিস্তান চীনে ফল ও সবজি রফতানি করতে পারে, যখন চীনের চাল এবং মাছ সহ একটি বড় সামুদ্রিক খাবারের বাজার রয়েছে, যেখান থেকে পাকিস্তানি রফতানিকারকরা সম্পূর্ণ সুবিধা নিতে পারে।’

বিজিয়ান পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, দুই দেশ বাণিজ্যের মাধ্যমে পাকিস্তানের রফতানি পরিমাণ বাড়ানোর জন্য একটি কৌশল তৈরি করতে পারে। তিনি পাকিস্তানি শিল্পপতিদের দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) সুবিধা নেয়ার আহ্বান জানান। এছাড়াও, তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়ানো যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কেএটিআই সভাপতি বলেন, তারা রফতানি বাড়ানোর জন্য তার প্রস্তাবের বিষয়ে চীনা কনস্যুলেটকে ব্রিফ করবেন। কেএটিআই-এর সাবেক সভাপতি দানিশ খান বলেছেন যে, চীনা বিনিয়োগকারীদের পাকিস্তানে শিল্প স্থাপন করা উচিত। তিনি পাকিস্তানি পণ্যের প্রচারের জন্য যৌথ বাণিজ্য মেলা আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র: ট্রিবিউন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন