শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কেয়ামতের তথ্য ধরে রাখতে বসানো হচ্ছে ব্ল্যাক বক্স

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৫৭ পিএম

পৃথিবীর এই ব্ল্যাক বক্স বসানো হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া দ্বীপে।


কেয়ামতের সময় বা পৃথিবীর শেষের দিনগুলোতে যে যে ঘটনা ঘটবে তা ধরে রাখতে অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া দ্বীপে বসানো হচ্ছে বিশাল আকারের একটি ‘ব্ল্যাক বক্স’। যদি কোনও পরবর্তী প্রজন্ম বা সৌরমণ্ডলের ভিন্‌ গ্রহ থেকে আসা কেউ কখনও আসেন, তাহলে তারা যাতে জানতে পারেন আসলে কী কী ঘটেছিল।

পৃথিবীর এই ব্ল্যাক বক্স একেবারে বিমানের ব্ল্যাক বক্সের মতো। বিমান ভেঙে পড়লে যেমন সেই ব্ল্যাক বক্স ভেঙে জানা যায় শেষ মুহূর্তে কী কী নির্দেশ দিয়েছিল। গ্রাউন্ড কন্ট্রোল বা পাইলটের সঙ্গে গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের ঠিক কী কী কথাবার্তা হয়েছিল, কী ভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল বিমানটিকে আর কেনই বা বাঁচানো যায়নি। এটি কোনও ভাবেই ধ্বংস করা সম্ভব নয়।

পৃথিবীর সেই ব্ল্যাক বক্সের ওয়েবসাইট জানিয়েছে, আগামী বছরের গোড়ার দিকেই তাসমানিয়ার কোনও এক দুর্গম জায়গায় বসানো হবে সেই বিশাল আকারের ব্ল্যাক বক্স। যা ইতিমধ্যেই বানিয়ে ফেলা হয়েছে পুরু ইস্পাত দিয়ে। তবে ঠিক কোথায় সেটিকে বসানো হবে তা গোপন রাখা হবে। পৃথিবীর এই ব্ল্যাক বক্সটি বানিয়েছে তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, আরও দুটি সংস্থা— ‘ক্লেমেঙ্গার বিবিডিও’ এবং ‘দ্য গ্লু সোসাইটি’র সহযোগিতায়।

পৃথিবীতে ষষ্ঠ গণবিলুপ্তি রুখতে বিজ্ঞানীরা যা যা ব্যবস্থা নিচ্ছেন উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের গতিতে লাগাম পরানোর জন্য আর তার প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াচ্ছে যে সব রাষ্ট্রনেতার কর্মকাণ্ড, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত তার যাবতীয় রেকর্ড একেবারে রিয়েল টাইমে ধরা থাকছে সেই ব্ল্যাক বক্সে। যার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সৌরশক্তিতে চলা হার্ড ড্রাইভগুলি দিয়ে। যা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কয়েক বছর আগেই বসানো হয়েছে খুব গোপনে। যাতে কাকপক্ষীতেও টের না পায়।

ব্ল্যাক বক্সের ওয়েবসাইট জানিয়েছে, উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রাণী ও উদ্ভিদের কোন কোন প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে, কী হারে বেড়ে চলেছে পরিবেশ দূষণের মাত্রা, আর সেই সবের কী কী প্রভাব পড়ছে এই প্রজন্মের মানুষের স্বাস্থ্যে, অর্থনীতিতে, সেই সব তথ্যই এতে ধরা থাকবে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর এই ব্ল্যাক বক্স বানানো হয়েছে অনেকটা নরওয়ের সেই ‘ডুম্‌সডে ভল্ট’-এর আদলেই। যেখানে পৃথিবীর শেষের সে দিনের জন্য বানিয়ে রাখা হয়েছে একটি সুবিশাল দুর্গ। যার ভিতরে মজুত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণে নানা ধরনের শস্যবীজ। আর নিয়মিত ভাবে সেখানে প্রয়োজনীয় শস্যবীজের সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মহাসাগরগুলোর উপরিতল উঠে আসায় বিভিন্ন দেশ, মহাদেশ জলমগ্ন হয়ে পড়লে শস্য উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ না হয়ে গিয়ে সভ্যতার একাংশকে অনাহারের হাত থেকে কিছুটা হলেও বাঁচানো যায়। সূত্র: সিএনএন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
মুহাম্মাদ বিন সালেহ ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:১৬ পিএম says : 1
"আগে কিয়ামতের ভয়াবহতা বিষয়ে পবিত্র কোরআন ও হাদীস থেকে ওনাদের একটু ধারণা নেয়া উচিত।"
Total Reply(0)
মোঃ হামিজ উদদীন ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:১৯ পিএম says : 0
নাউজুবিল্লাহ আললহ সব ধংশ কোরতে পারে
Total Reply(0)
Parvej Husen Talukder ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩:১০ পিএম says : 0
যত্ত সব পালের বংশধর।
Total Reply(0)
মোঃ রফিকুল আলম ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:৫৯ পিএম says : 0
নাউজুবিল্লাহ্। কিয়ামতের ভয়াবহতা সম্পর্কিত জ্ঞান তাদের না থাকার কারনে এধরনের কাজ করতেছে।লাহাওলা ওয়ালাকুয়াতা ইল্লাবিল্লাহ্।
Total Reply(0)
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:০২ পিএম says : 0
আসলে তারাতো এক সময় কেয়ামত কে বিশ্বাস ও করতোনা। যা হউক এ কর্মের মাধ্যমে কেয়ামতকে মেনে নিয়েছে এ জন্য ধন্যবাদ, তবে কেয়ামতের ভয়াবহতা এমন হবে যে ইস্পাত কেন সৌরজগত ভূমন্ডল নবমন্ডলের কোন কিছুরই অস্তিত্ব থাকবেনা, তখন এ ব্লাক বক্সের কি আবস্থা হবে? আল্লাহর কুদরতের সামনে সবাই মিসকিন।
Total Reply(0)
মহিদ হাসান ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:২৮ পিএম says : 0
মানুষ কত বোকা,,,যেখানে আল্লাহ ইচ্ছা করবেন শেষ করতে,,এমন চিন্তা কি করে আসে
Total Reply(0)
মোহাম্মদ জাফর উদ্দিন ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:২২ এএম says : 0
মহান আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে অজ্ঞতাই এই নিরর্থক কাজের উৎসাহ দিয়েছে,মহা প্রলয় বা কেয়ামতের বিবরণ পবিত্র কুরআন যে ভাবে দিয়েছেন সেই ধারণা থাকলে এমন চিন্তা আসতে পারেনা। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন, এবং বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন
Total Reply(0)
H.M.Kamrul Islam ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:১৬ এএম says : 0
কিয়ামত সম্পর্কে ওদের বিন্দু মাত্রও ধারনা নেই,যদি থাকতো তাহলে এমন কিছু আবিষ্কার করার কল্পনাও করতো না
Total Reply(0)
Mominul Hoque ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:১৯ এএম says : 0
কোরআনে উল্লেখিত কিয়ামত তারা বিশ্বাস করে। কিন্তু কিয়ামতের ধ্বংস লীলা সম্পর্কে তারা এখনো অজ্ঞ। আল্লাহর শক্তি বড় শক্তি। আল্লাহ তাদের হেদায়াত দান করুন। আমিন
Total Reply(0)
MMR ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:২৯ এএম says : 1
They should know that when the Hour comes, the mountains will break away and the sky will break and fly away like the pages of a book. Their black box is a far cry. May Allah guide them to the truth.
Total Reply(0)
Zakiul Islam ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:৪১ এএম says : 0
ওনারা বিজ্ঞানী হয়েও অবিজ্ঞানীদের মতো কাজ করছেন । সমস্ত সৃষ্টি একটি সুশৃঙ্খল চেইন , আল্লাহর হুকুমে যখন সিঙ্গা ফুঁ দেবেন তখন সুশৃঙ্খল চেইন টা বিশৃঙ্খল হয়ে পরবে এবং সমস্ত সৃষ্টিই ধংস হয়ে যাবে । অবিশ্বাসীরা এইগুলু করতেই থাকবেন ।
Total Reply(0)
Humayun ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৯:২১ এএম says : 0
একদল পাগলের কাজ যারা শুধু সরকারেে টাকার ভাগ পেতে পাগলামি করে।কিয়ামত সম্পর্কে ধারণা এদের নাই
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন