"ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন, উপকৃত সকল জনগণ,” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামী ১২ ডিসেম্বর ২০২১ দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে উদযাপিত হবে জাতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১২ ডিসেম্বর, দুপুর ১১.০০ মি. বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি), হল অব ফেম-এ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২১ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করতে সানুগ্রহ সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১ উপলক্ষে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে “সংবাদ সম্মেলনে” এসব তথ্য জানান।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখরভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে ১২ ডিসেম্বর ২০২১ সকাল ০৭.০০ টায় ধানমন্ডিস্থ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদনের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১-এর শুভ সুচনা করা হবে। এছাড়াও সকাল ৮:০০ টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা হতে খামারবাড়ি মোড় পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ০৩.০০ টায় হল অব ফেম, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি), ঢাকাতে প্রতিপাদ্য ভিত্তিক জাতীয় সেমিনার এবং বিকেল ০৩:০০মি. ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড সিটি, মাদানী, বাড্ডা-এর মাঠে ০৫ (পাঁচ ঘন্টাব্যাপী) ডিজিটাল বাংলাদেশ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
দিবস উপলক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর স্ব স্ব সাফল্য ও অর্জন নির্ভর সেমিনার/আলোচনা সভা আয়োজন করবে। এছাড়া বিদেশে অবস্থিত সকল বাংলাদেশ মিশনে দিবসটি একযোগে পালন করবে বলে তিনি জানান।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ১২ বছরের সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা, দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণ বা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক রচনা, উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃতি, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সভা/সেমিনার-এর আয়োজন করা হবে এবং সচেতনতামূলক নাটিকা পরিবেশন, শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠানকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সাধারণ ও কারিগরি ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তিতে অনন্য অবদানের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২১ বিতরণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল দেশের ১৭ কোটি মানুষ পাচ্ছে। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প ঘোষণা করেন তখন তা ছিল একজন রাজনৈতিক নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনার। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব লাভের পর ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প হয়েছে দেশের সকল জনগণের।
তিনি বিগত ১২ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন আইসিটি খাতে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ২০ লক্ষ। বর্তমানে আইসিটি খাতে রপ্তানি ১ দশমিক ৩ মার্কিন ডলার। অনলাইন শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশের প্রায় সাড়ে ৬ লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সিং খাত থেকে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ৭’শ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সঠিক অবকাঠামো গড়ে উঠার কারণে এসব সম্ভব হচ্ছে।
পলক বলেন এখন নিজের বাহন না থাকলেও রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজেই গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। প্রতারণা ও হয়রানির শিকার না হয়ে ১০ কোটিরও বেশি নাগরিক মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল ওয়ালেটের মাধ্যমে পরিবারের কাছে টাকা পাঠানোর পাশাপাশি আর্থিক লেনদেন করতে সক্ষম হচ্ছে। তিনি বলেন এর মধ্য দিয়ে দুর্নীতি, অপচয় এবং হয়রানি দূর করার পাশাপাশি গ্রাম-শহর, নারী-পুরুষ ও নবীন-প্রবীনের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
পলক বলেন দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বর্তমানে প্রায় ১৩ কোটি। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে আর্থিক সেবায় মানুষের অন্তর্ভুক্তি রীতিমতো বিস্ময়কর। অনলাইন ব্যাংকিং, ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার, এটিএম কার্ড ব্যবহার শুধু ক্যাশলেস সোসাইটি গড়াসহ ই-গভর্মেন্ট প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন