শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে আইনি জটিলতায় দুদক

আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবসে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:০১ এএম

অর্থ পাচারের আভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনি জটিলতায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, সংস্থাটির কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। মানববন্ধনে সংস্থার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ, কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান, মহাপরিচালক ও পরিচালক, বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
মানব বন্ধনে অংশ নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে অনুসন্ধান ও তদন্তে যে দীর্ঘসূত্রিতা আছে, ওইটা কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সেই পরিকল্পনা করা। আমরা বাস্তবভাবে পরিকল্পনা করছি, দুর্নীতি নিয়ে জনগণের যে প্রত্যাশা এর কাছাকাছি যাওয়া।
অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থ পাচারের বিষয়টা মানি লন্ডারিং আইনের মধ্যে আছে। আইনের ২৮টি ধারা আছে, শুধুমাত্র একটি ধারা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে যে অর্থ পাচার হয় সেই অংশটা আমরা দেখতে পারি। ওইটা দেখার জন্য আমাদের তদন্ত-অনুসন্ধানের জন্য নির্ভরশীল থাকতে হয় বিভিন্ন সংস্থার ওপরে। তারা যদি সময়মত ও যথাযথভাবে চাহিদা অনুযায়ী কাগজপত্র সরবরাহ করে তবেই আমরা দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে আনতে পারি।
কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, অর্থ ফেরত আনার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট অনেক দেশে এমএলএআর পাঠানো হয়েছে। আদালতের রায়ের মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনা হবে।
কমিশনার মো. জহুরুল হক, অর্থ পাচারের আভিযোগ অনুসন্ধানে আইনি জটিলতায় দুদক। ২৮টি ধারার ২৭টি দুদকের কাছে নেই। তারপরও আমরা থেমে থাকিনি। দুদক আদালতে যে ৪৩ জনের তালিকায় দিয়েছে, সেই তালিকায় দুদকের আইনি যা করার সুযোগ আছে করা হবে। তালিকা আরও বড় হতে পারে।
উল্লেখ্য, ‘আপনার অধিকার, আপনার দায়িত্ব : দুর্নীতিকে না বলুন’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একযোগে উদযাপিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস-২০২১’। জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ঘোষণা করে। সে হিসেবে এবার ১৯তম আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস। জাতিসংঘ সারা বিশ্বকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যেই ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (আনকাক) মাধ্যমে দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ আনকাকের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উদযাপন করে। যদিও ২০১৭ সাল থেকে দিবসটি সরকারিভাবেই উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটিকে উপলক্ষ্য করে দুদক প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় কার্যালয় এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সভা- সেমিনার, মানববন্ধন, র‌্যালি, কার্টুন-পোস্টার প্রদর্শর্নীসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন