শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ত্রিদেশীয় করিডোর বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে : বনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৬ এএম

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন করিডোর হাতি ও বাঘসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে। এই করিডোর তৈরি সম্ভব হলে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের হাতি ও বাঘের খÐিত আবাসস্থলগুলোর ভেতর সংযোগ স্থাপন হবে। যা বাঘ ও হাতির প্রজনন ও বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং একইসঙ্গে এ অঞ্চলের অন্যান্য বন্যপ্রাণি সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে। হাতি ও বেঙ্গল টাইগারের জন্য আন্তঃদেশীয় নির্বিঘœ চলাচলের পথ বা করিডোর তৈরির সম্ভাব্যতা নিরূপণ করা হচ্ছে।
গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বন অধিদফতর আয়োজিত ‘ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি অব ট্রান্সবাউন্ডারি ওয়াইল্ডলাইফ করিডোর ইন চট্টগ্রাম, চিটাগাং হিলট্রাক্টস অ্যান্ড কক্সবাজার উইথ মিয়ানমার অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের ন্যাশনাল রেজাল্ট শেয়ারিং অ্যান্ড কনসালটেশন ওয়ার্কশপ-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন, বনভ‚মির অভ্যন্তরে বসতি স্থাপন, বনভ‚মিকে কৃষিজমিতে রূপান্তর ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাÐ পরিচালনার জন্য প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের বনভ‚মি সঙ্কুচিত হচ্ছে। একইসঙ্গে বন্যপ্রাণি হারাচ্ছে তাদের আবাসস্থল ও চারণভ‚মি। ফলে মানুষ ও বন্যপ্রাণির দ্ব›দ্ব ক্রমাগত বাড়ছে। এতে করে মানুষ ও বন্যপ্রাণি উভয়ই প্রাণ হারাচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা (আইইউসিএন) এর ২০১৬ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে এশীয় হাতির মোট সংখ্যা প্রায় ২৬৮টি এবং ২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা প্রায় ১১৪টি। দ্রæত সংরক্ষণের ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই এই গুরুত্বপূর্ণ প্রাণীগুলো বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্দেশ্যেই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ বন অধিদফতর এশীয় হাতি ও বেঙ্গল টাইগারের আন্তঃদেশীয় ও দেশের অভ্যন্তরীণ চলাচল নির্বিঘœ করার লক্ষ্যে চলতি বছর জুন মাসে এ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার কার্যক্রম গ্রহণ করে। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত টিকে থাকা বন্যপ্রাণিদের রক্ষার অঙ্গীকারে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ। কর্মশালায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা প্রজেক্টের বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন