শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মানবিকতা আন্দোলন করে আদায় করা যায় না, আইন আইনের গতিতে চলবে - আইনমন্ত্রী

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:৪৬ পিএম

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সভাপতি কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেন; খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে বিএনপি আন্দোলন করছে। মানবিকতা আন্দোলন করে আদায় করা যায় না, আইন আইনের গতিতে চলবে। আইনে কোন দরখাস্ত যদি নিষ্পত্তি হয়ে থাকে পুনরায় বিবেচনার কোন সুযোগ থাকে না। সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে আইনে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। মন্ত্রী বলেন, বিদেশে যেতে পারবেন না, নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এই দু’টি শর্তে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া নিজ বাসায় আছেন এবং চিকিৎসা করাচ্ছেন।

মন্ত্রী বলেন, গত বছরের মার্চ মাসে খালেদা জিয়ার পরিবার থেকে বিদেশে নিয়ে তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করা হয়। কিন্তু আইনে না থাকায় তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। বিষয়টি পরপর দুইবার নিষ্পত্তি হয়েছে। আইনের পরিষ্কার কথা, কোন দরখাস্ত যদি নিষ্পত্তি হয়ে থাকে তারপর পুন:বিবেচনা করার কোন সুযোগ থাকে না।

মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন মমতাময়ী মা। আমাদের দেশে কোন একজনের পরিবারের সন্তান মৃত্যুবরণ করলে শত্রু হলেও তার বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান। খালেদা জিয়ার ছেলে মারা গিয়েছেন তাকে সমবেদনা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাসায় গিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মুখের উপর গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাকে বাসায় যেতে দেওয়া হয়নি। এটা শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, এটা বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের অপমান।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ সত্য জানার পরও খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করেন। মনে হচ্ছে হত্যা করেছি বেশ করেছি এই জন্যই ওনি জন্মদিন পালন করেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিলেন খালেদা জিয়া। এক্সওয়াইজেড যে কাউকে বিরোধী নেতা বানানো যেত কিন্তু খালেদা জিয়া ওই সংসদে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্ণেল খন্দকার রশিদকে বিরোধী নেতা বানিয়েছিলেন।

বিশেষ বর্ধিত সভায় আইনমন্ত্রী স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কসবায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে প্রতীকবিহীন উন্মুক্ত। গত দেড়টি বছর করোনার জন্য মানুষ বিয়ে-সাদিতে যেতে পারেনি, আনন্দ উল্লাস করতে পারেনি। নির্বাচনে জনগণ আনন্দ ও ফুর্তি করার সুযোগ পায়। মানুষের নির্বাচনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত করা আমার উদ্দেশ্য নয়। নির্বাচনের কারণে আওয়ামীলীগ যেন বিভক্ত না হয় সেটা লক্ষ্য রাখবেন। আপনারা সকলেই আওয়ামীলীগের কর্মী, বঙ্গবন্ধুর কর্মী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। সেজন্য আপনাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন নির্বাচনের পর দুই মাসের মধ্যে কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের সকল কমিটি নির্বাচন করা হবে।

বিশেষ বর্ধিত সভায় এ সময় কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক এম জি হাক্কানী, অ্যাড. রাশেদুল কাওসার ভ‚ইয়া, কাজী আজহারুল ইসলাম, রুহুল আমিন ভ‚ইয়া, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. আনিসুল হক ভুঞাসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিকেলে মন্ত্রী উপজেলার বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ছয় শতাধিক শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
jack ali ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ৯:০৯ পিএম says : 0
আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আনুগত্য ও এবাদতই যখন মানব জীবনের প্রধান লক্ষ্য তখন জগতের কাজ কারবার, রাজ্য শাসন, রাজনীতি ও পারিবারিক সম্পর্ক সবই এ লক্ষের অধীন. অতএব যে মানুষ এর বিরোধিতা করে সে আল্লাহ ও মানবতার প্রধান শত্রু. বিশ্বশ্রেষ্ঠ শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহমতউল্লাহ লিখেছেন: অকাট্য দলিল ও সমস্ত উম্মাহর ঐক্য বদ্ধ ঐক্যমতের ভিত্তিতে একথা স্পষ্ট যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্মকে সমর্থন করবে কিংবা মোহাম্মদ [সাঃ] শরিয়া ব্যতীত অন্য কোন রাষ্ট্রব্যবস্থাকে সমর্থন করবে সে কাফের. যেভাবে কেউ কোরআনের কিছু অংশ বিশ্বাস করে আর কিছু অংশ অবিশ্বাস করলে কাফের হয়. { মাজমুউ ফাতাওয়া শাইখুল ইসলাম 524/28 } Surah:5: Ayat:44: “যে ব্যক্তি আল্লাহর বিধান অনুযায়ী বিচার করে না এমন লোক তো পূর্ণ কাফির” Surah:5: Ayat:45: “যে ব্যক্তি আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী ফায়সালা করে না তাহলে তো এমন ব্যক্তি পূর্ণ জালিম.” Surah:5: Ayat:47: “যে ব্যক্তি আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী বিচার ফয়সালা করে না, তাহলে তো এই লোকই পাপাচারী ফাসেক”এইজন্যই তো নবী [সাঃ] নবীজির জীবনে 10 বছরে প্রায় 100 পাঁচটা যুদ্ধ হয়েছিল…..নিজেই সাতাশটা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন কাফেরদের বিরুদ্ধে যারা আল্লাহর আইন দিয়ে দেশ শাসন করত না… আলী রাদিয়াল্লাহু বলতেন যে যুগে যুগে ইসলামকে ধ্বংস করবে দরবারী আলেম ও শাসকগণ. “তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তা করে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া তাদের কী প্রতিদান হতে পারে? আর কিয়ামতের দিনে তাদেরকে কঠিনতম আযাবে নিক্ষেপ করা হবে। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে গাফেল নন”। সূরা বাকারা: (৮৫) ইসলামে নিশ্চিত ভাবে প্রমাণিত কোনো বিষয় যে প্রত্যাখ্যান করল, সে কাফের ও পথভ্রষ্ট, যদিও তার প্রত্যাখ্যান করা বিষয়ের পরিমাণ খুব কম ও সামান্য হয়। অতএব পার্থিব রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ইসলামের সকল বিধান যে প্রত্যাখ্যান করে, সে কাফের বলার অপেক্ষা রাখে না, যেমন সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতার অনুসারীরা।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন