বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

তাইওয়ানকে ছেড়ে এক চীনে স্বীকৃতি নিকারাগুয়ার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক মিত্র তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন ত্যাগ করেছে নিকারাগুয়া। মধ্য আমেরিকার দেশটি জানিয়েছে, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু চীনকে স্বীকৃতি দেবে। নিকারাগুয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস মনকাডা বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে এই পরিবর্তনের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন হল একমাত্র বৈধ সরকার যা সমস্ত চীনকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাইওয়ান হল চীনা ভূখন্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

নিকারাগুয়ায় এখন ক্ষমতায় আছে ডেনিয়েল ওর্তেগার সরকার। এই সরকারও বিশ্বাস করে, চীনের একটি সরকারই বৈধ সরকার। ঘোষণায় বলা হয়েছে, আজ থেকে নিকারাগুয়া তাইওয়ানের সাথে তার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল এবং যে কোনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ বা সম্পর্ক বন্ধ করা হল। এ ঘটনায় তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘দুঃখ ও অনুশোচনা’ প্রকাশ করে জানিয়েছে, নিকারাগুয়া অবিলম্বে তাদের ক‚টনৈতিক কর্মীদের প্রত্যাহার করবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে নিকারাগুয়া বিশ্বের ১৪টি দেশের সাথে যুক্ত হল, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দেয় না। চীন গত কয়েক বছর ধরে তাইওয়ানের কূটনৈতিক মিত্রদের নিজের দলে ভিড়িয়েছে। গণতান্ত্রিক ও স্বশাসিত দ্বীপটিকে সার্বভৌম জাতি হিসাবে স্বীকৃতি দেয় এমন দেশের সংখ্যা কমাতে কাজ করছে তারা। বৈশ্বিক ফোরামে বা কূটনীতিতে তাইওয়ানের প্রতিনিধিত্ব থাকুক তা চায় না চীন।

চীনা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি বলছে, নিকারাগুয়ান সরকার শুক্রবার তিয়ানজিনে চীনের সাথে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য একটি অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছে। চুক্তির অধীনে নিকারাগুয়া প্রতিশ্র
শ্রুতি দিয়েছে, দেশটি তাইওয়ানের সাথে কোনও আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ রাখবে না। প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি সঠিক পদক্ষেপ যা বিশ্বব্যাপী প্রবণতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং জনগণের সমর্থন রয়েছে। চীন এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান লিখেছেন, আমরা আরও একটি সুন্দর যুদ্ধ জিতেছি। নিকারাগুয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস মনকাদা কলিনড্রেসের বিবৃতিটির ভিডিও শেয়ার করার সময় বলেন, তাইওয়ান চীনের ‘অবিচ্ছিন্ন’ অংশ।

নিকারাগুয়া ১৯৯০ এর দশকে তাইওয়ানের সাথে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে, যখন প্রেসিডেন্ট ভায়োলেটা চামোরো ভোটে ড্যানিয়েল ওর্তেগার স্যান্ডিনিস্তা শাসনকে পরাজিত করে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ওর্তেগা ২০০৭ সালে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে টানা চতুর্থ রাষ্ট্রপতি মেয়াদের জন্য পুনঃনির্বাচিত হন ও তাইপের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখেন। তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইটারে লিখেছে, দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব এবং সফল সহযোগিতা ওর্তেগা সরকার উপেক্ষা করেছে। তাইওয়ান বিশ্বের ভালোর জন্য একটি শক্তি হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবে। সূত্র : রয়টার্স, গ্লোবাল নিউজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Masud Rana Masud Rana ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:২৬ এএম says : 0
এর পিছনে ভারতের ও আমেরিকার চাপ আছে বৈকি।
Total Reply(0)
MD Matlubur Rahman ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:২৭ এএম says : 0
হংকং, ম্যাকাও, তাইওয়ান, তিব্বত চিনের অংশ হতে পারে না, হংকং ও ম্যাকাও যথাক্রমেব ব্রিটিশ থেকে ১৯৯৭ এবং পর্তুগাল থেকে ১৯৯৯ সালে নেয়। তাইওয়ান ও তিব্বত ২টাই স্বাধিন দেশ ছিলো চিন যথাক্রমে ১৯৫০, ১৯৭১ সালে এই দু'দেশ দখল করে। কিন্তু তারা এই দখলদারিত্ব মেনে নেইনি কখনো, তারা নিজেদেরকে স্বাধিন দাবি করে যার পরিণতিতে তিব্বত আজ নিশিদ্ধ দেশ। এই চারটা অঞ্চল ই স্বাধিনতা চায় এবং তারা স্বাধিন দাবি করে।
Total Reply(0)
Rony Ahammed ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:২৭ এএম says : 0
হংকং ও তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীনতা চায় একথা সত্যি কিন্তু চীন এদেরকে স্বাধীনতা দিবে না সে যায় হোক। তাই একথা বলা যাবে না তাইওয়ান ও হংকং আলাদা দেশ।
Total Reply(0)
Rejaul Karim Abir ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:২৭ এএম says : 0
চীনকে বাংলাদেশ সাপোর্ট করে ভালো কথা দেশের ভালোর কথা চিন্তা করেই করে কিন্তু চীন রোহিঙ্গা ইসুতে বাংলাদেশের পাশে নেই কেনো??
Total Reply(0)
Billal Hossain ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:২৮ এএম says : 0
তাইওয়ান কে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য আমেরিকার বহু ষড়যন্ত্র করেছে কিন্তু চীন নস্সাত করেছে আর হংকং ত ব্রিটিশ দের থেকে চীন কে দিয়ে গেল এটা আবার নতুন কি দূ টি অংশ চীনের অধীনে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন