ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যে যুদ্ধ চলছে - সেখানকার পরিস্থিতিকে গণহত্যার সাথে তুলনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে ২০১৪ সাল থেকেই রুশ-সমর্থিত বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের সরকারি সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-ভাষী জনগোষ্ঠীর এক বড় অংশ বসবাস করেন ডনবাস এলাকায়। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করে এ মন্তব্য করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি বলেন, 'রুশোফোবিয়া' হচ্ছে গণহত্যার পথে প্রথম পদক্ষেপ। ‘ডনবাসে কি ঘটছে তা আমরা দেখছি এবং জানি’, বলেন পুতিন, ‘এটা নিশ্চয়ই গণহত্যার মতোই দেখাচ্ছে।’
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি এ মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, রাশিয়া তাদের উত্তেজনাকর কথাবার্তা এবং ভুল তথ্য প্রচারের জন্য সুপরিচিত। গত কিছুকালের মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ৯০,০০০ সৈন্য সমাবেশ করেছে। তাদের এই সৈন্য সমাবেশ ইতোমধ্যেই চাপে থাকা রুশ-মার্কিন সম্পর্ককে আরো উত্তেজনপূর্ণ করে তুলেছে।
ডনবাস সীমান্তেও রুশ সৈন্য সমাবেশ ঘটছে। গত সাত বছর ধরে ইউক্রেনের পূবদিকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ দখল করে আছে রুশ সমর্থিত সৈন্যরােএবং এখানে সংঘাতে এ পর্যন্ত ১৪,০০০এরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। ইউক্রেন সীমান্তে বিপুলসংখ্যক রুশ সৈন্য সমাবেশের ফলে আশংকা তৈরি হয়েছে যে রাশিয়া হয়তো ইউক্রেনে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছে। এরকম কিছু হলে রাশিয়ার ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক ভিডিও লিংকের মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বৈঠক করেন এবং তার পর ওই আলোচনা সম্পর্কে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও অবহিত করেছেন মি. বাইডেন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ এনে রাশিয়া বলেছে, নেটো জোটকে পূর্বদিকে সম্প্রসারণ এবং রাশিয়ার কাছাকাছি কোন অস্ত্র মোতায়েনের প্রয়াস বন্ধ করা হবে - তারা এই গ্যারান্টি চায়। সূত্র: বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন