শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ৭ জন

র‌্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ঢাকায় কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব অতিরঞ্জিত সংবাদের ভিত্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

কয়েক দিন থেকে টক অব দ্য কান্ট্রি সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ দাম্ভিক কথাবার্তা, এক নায়িকাকে ধর্ষণের হুমকি, মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ, দল থেকে বহিষ্কার ইত্যাদি খবর গণমাধ্যম ও নেট দুনিয়া দখল করে রেখেছিল। মাঝে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘গণতন্ত্র সম্মেলনে’ বাংলাদেশের আমন্ত্রণ না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। অতপর গণধিকৃত মুরাদ হাসানের কানাডা চলে যাওয়ার জন্য মুখ ঢেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রবেশ, কানাডায় প্রবেশ করতে না দেওয়ার খবর গণমাধ্যম, নেট দুনিয়ায় তোলপাড় চলছে। এর মধ্যেই বিনা মেঘে বর্জ্রপাতের মতো খবর আসে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার খবর। মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে র‌্যাবের এ কর্মকর্তাদের আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সে দেশে এদের কারো সম্পদ থাকলে তা জব্দ করা হবে। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ খবর নেট দুনিয়ায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক চলছে। জো বাইডেন প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে কেউ কেউ বাংলাদেশের জন্য ‘অশনি সংকেত’ হিসেবে অবিহিত করেছেন।

গতকাল ঢাকায় কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে বাইডেন প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের একটা নতুন ঢং। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, অতিরঞ্জিত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব এবং বাহিনীটির বর্তমান ও সাবেক ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে র‌্যাব ৭ কর্মকর্তার আমেরিকা প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক দেশ মনে না করায় আমেরিকার গণতান্ত্রিক সম্মেলনেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে র‌্যাবের ৭ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রাষ্ট্রের জন্য অসম্মানজনক। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত বিবৃতি অনুসারে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় প্রথমে রয়েছেন র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান আইজিপি বেনজীর আহমেদ। এ ছাড়াও রয়েছেন- র‌্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খান। পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বেনজীরের পাশাপাশি র‌্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক (লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের নাম উল্লেখ করা হয়।

র‌্যাবের এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তোলা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে র‌্যাবের যে কার্যক্রম, তার বিরুদ্ধে ব্যাপক ও গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ রয়েছে। এ মানবাধিকার লংঘন ও আইনের শাসনের প্রতি অবজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ ও বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতিকে হুমকির মুখে ফেলছে।

মার্কিন দফতরটি উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশে র‌্যাব ২০০৪ সালে গঠিত হয়। এর সদস্য হন পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) থেকে আসা সদস্যরা। বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) বরাত দিয়ে বলা হয়, র‌্যাবের বিরুদ্ধে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬০০টির বেশি গুম, ২০১৮ সাল থেকে ৬০০ জনকে বিচারবহির্ভ‚ত হত্যা এবং নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। কিছু প্রতিবেদন বলছে, এসব ঘটনা বিরোধী দলের সদস্য, সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মীদের ওপরও ঘটানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের কারও নামে কিংবা কোনো মার্কিন নাগরিকের জিম্মায় কোনো সম্পদ থেকে থাকলে তা জব্দ করা হবে। বিষয়টি অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোলকে (ওএফএসি) অবহিত করতে হবে। ওএফএসির বিশেষ অনুমতি বা অন্য কোনো ছাড় না থাকলে মার্কিন নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মানবাধিকার লংঘনের জন্য চিহ্নিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর পৃথক এক ঘোষণায় বেনজীর আহমেদ এবং র‌্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের ওপর সে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আগে থেকেই ছিল। ২০১৮ সালের মে মাসে কক্সবাজারের টেকনাফে পৌর কাউন্সিলর একরামুল হককে বিচারবহির্ভ‚ত হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনে সম্পৃক্ততার জন্য এ দুজনের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ দফতর সরকারের এক নির্বাহী আদেশের (নম্বর ১৩৮১৮) আওতায় এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ আদেশে মানবাধিকার লংঘন বা দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তির সম্পদ বাজেয়াপ্তের কথা বলা হয়েছে।

মার্কিন রাজস্ব বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাবকে একটি বিদেশি সংস্থা হিসেবে বাইডেন সরকারের নির্বাহী আদেশের (নম্বর ১৩৮১৮) অধীনে রাখা হয়েছে। এর ফলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে র‌্যাবও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে।
২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাবের ডিজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বেনজীর আহমেদ। আর চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে র‌্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন।

মার্কিন রাজস্ব বিভাগের নিষেধাজ্ঞা জারি করা খান মোহাম্মদ আজাদ গত ১৬ মার্চ থেকে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার ২০১৯ সালের ২৭ জুন থেকে গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মো. জাহাঙ্গীর আলম ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ২৭ জুন পর্যন্ত র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) ছিলেন। আর মো. আনোয়ার লতিফ খান ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) পদে ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব : ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অতপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের একটা নতুন ঢং। যে কোনো অভিযোগ তথ্যভিত্তিক হওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৬ লাখ লোক নিখোঁজ হয়। তাদের মতো পরিপক্ব গণতন্ত্রের দেশ থেকে এটা কাম্য নয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সাবেক একজন ও বর্তমান ৬ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রেক্ষিতে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করা হয়। তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।

মূলত সচিব মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে র‌্যাব এবং প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, র‌্যাবের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাতে ঢাকা অসন্তুষ্ট। এ অসন্তোষের কথা জানিয়ে দিতে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারকে তলব করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের অসন্তোষের কথা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আগেভাগে কোনো শলাপরামর্শ ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন একতরফা পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা দেয়ার জন্য যে ইস্যু উত্থাপন করা হয়েছে তা সক্রিয় আলোচনার বিষয়। বিশেষ করে দুই পক্ষের মধ্যে নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপের মাধ্যমে এর সমাধান সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র আগে কোনোভাবে অবহিত না করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সন্ত্রাস, মাদক পাচার এবং অন্যান্য বহুজাতিক জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনে থাকা সরকারি একটি এজেন্সির মর্যাদা খর্ব করেছে যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সুনির্দিষ্ট যেসব ইস্যুতে র‌্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এসব বিষয় শুধু মার্কিন প্রশাসন নয়, বহুবার বিভিন্ন সময়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মেকানিজমের অনেকের কাছে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার আইনের শাসন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে শ‚ন্য সহনশীলতা অবলম্বন করছে। বাংলাদেশে ইউনিফর্ম পরা সেবা খাতগুলোতে এর কোনো সদস্য অন্যায় করলে সেই অন্যায়ের আইনগত এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার নিয়ম আছে। এক্ষেত্রে র‌্যাব ব্যতিক্রম নয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা বললেন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, র‌্যাবসহ বাংলাদেশের কোনো সংস্থা মানবাধিকার লংঘন করে না। অতিরঞ্জিত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব এবং বাহিনীটির বর্তমান ও সাবেক ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসার বুড়িগঙ্গা হলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের প্রতিটি অভিযোগ ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তদন্ত হয়। কোনো সংস্থা মানবাধিকার লংঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বস্তুনিষ্ঠভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। তারা অতিরঞ্জিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা চ্যালেঞ্জিং। মাদক কারবারিরা নিজেদের রক্ষা করার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। দেশের প্রশিক্ষিত বাহিনী অভিযান চালালে তারা অস্ত্র ব্যবহার করায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। আমাদের কোনো সংস্থা মানবাধিকার লংঘন করে না। করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়।

র‌্যাব মানবাধিকারের দৃষ্টান্ত : র‌্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেছেন, র‌্যাব মানবিকতার যে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে বিশ্বের কোনও বাহিনীর তা নেই। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। তিনি বলেন, মাত্র ৯ হাজার ফোর্সের র‌্যাব জঙ্গি ও দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে যে মানবিকতা দেখিয়েছে পৃথিবীতে অন্য কোনো বাহিনীর এমন নজির নেই। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাবের অফিসারসহ ২৮ জন প্রাণ দিয়েছেন, এক হাজারের মতো সদস্য পঙ্গু হয়েছেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভবিষ্যতেও র‌্যাব জীবন দিয়ে কাজ করবে।

র‌্যাবের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অফিসিয়ালি আমরা কোনও চিঠি পাইনি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা বলতে চাই, র‌্যাব কখনও মানবাধিকার লুণ্ঠন করেনি, রক্ষা করেছে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন হয়েছে। সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হয়েছে। সুন্দরবনের ৩৬টি দস্যু বাহিনীর ৩২৬ জন দস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের সুস্থ জীবন দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ করেছে, তারাও সুস্থ জীবনে ফিরেছে। জঙ্গি ও দস্যুসহ ৪২১ জনকে র‌্যাব সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে এনেছে। আমার জানা নেই বিশ্বে আর কোনও বাহিনী আছে কি-না যারা এমন মানবিকতা দেখিয়েছে।

ক্রসফায়ারের বিষয়ে র‌্যাবের এ পরিচালক বলেন, বিভিন্ন সময় আমাদের বিরুদ্ধে গুলি বিনিময়ের অভিযোগ করা হয়। আপনারা জানেন, রাষ্ট্রের আইনে প্রতিটি নাগরিকের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন অভিযানে যায়, তখন সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি বিনিময়ের অধিকার রাষ্ট্রের আইন আমাদের দিয়েছে। মাদক, জঙ্গি দমনের অভিযানে আমরা যখন প্রতিরোধের মুখে পরেছি, তখনই গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। র‌্যাব আত্মরক্ষার্থে গুলি করেছে। ক্রসফায়ারের প্রতিটি ঘটনার স্বাধীনভাবে তদন্ত হয় জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি গুলি বিনিময়ের ঘটনা নির্বাহী তদন্ত হয়। তারা দেখে গুলি বিনিময় যথাযথ ছিল কি-না। যারা আইন ভঙ্গ করে, নিয়ম ভঙ্গ করে, তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাব সবসময় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (14)
Md Hanif ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪৩ এএম says : 0
এটা থেকে প্রশাসনের ভাইদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।
Total Reply(0)
Al Amin ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪৪ এএম says : 1
বিশ্বের যেসকল দেশ আমেরিকার গোলামী না করে নিজেদের শক্তিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়, কিংবা যারা আমেরিকার শিখিয়ে দেয়া মুখস্থ বুলির সাথে তাল মিলিয়ে চলেনা, সেইসব দেশকে আমেরিকা চাপে রাখার জন্য কখনো গণতন্ত্র, কখনো আল কায়েদা, কখনো আইএস, কখনো পারমাণবিক বোমা, কখনো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শত্রু শত্রু খেলা ইত্যাদি আওয়াজ তুলে ফন্দি ফিকির করতে থাকে। এগুলো আমেরিকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী পররাষ্ট্রনীতি'র অংশ।
Total Reply(0)
আরিফ মোহাম্মদ আজাদ ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪৪ এএম says : 0
এরপরও কি বলবে এই গুলো ষড়যন্ত্রের শিকার
Total Reply(0)
Delwar Hussain ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪৫ এএম says : 3
আমেরিকা বিচার বহির্ভূত হত্যার কথা বলে!! হাসি পায়!!!
Total Reply(0)
Atiqur Rahaman ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪৫ এএম says : 0
দুর্ভাগ্য জাতির জারা আন্তর্জাতিক ভাবে অপরাধী হিসেবে নিষিদ্ধ তার দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ পোশাক পরিধান করে রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করার কাজে নিয়োজিত আছে। এর চাই লজ্জার আর কি আছে।
Total Reply(0)
Asaduzzaman Sumon Asad ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪৫ এএম says : 0
প্রশাসনের ভাইদের কে বলবো আপনারা জনগণের হয়ে কাজ করুন কোনো দলের নয় কারন দল একদিন না একদিন ক্ষমতা চুত্য হবেই হবে তখন আপনাদেরকে জবাবদিহিতা করতে হবে এজন্য জনগণের পক্ষে থাকুন তখন কাউকে জবাব দিতে হবে না।
Total Reply(1)
১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:২৮ এএম says : 0
Md Faisal Hossain ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪৬ এএম says : 0
যেমন কর্ম তেমন ফল
Total Reply(0)
Jashim Uddin ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪৬ এএম says : 0
এবার চিন্তা করেন বাংলাদেশের মধ্যে কোন ধরনের গণতন্ত্র চলতেছে
Total Reply(0)
Anwar Hossain ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪৬ এএম says : 1
ভালো লোকদের স্থান আমেরিকা হয়না
Total Reply(1)
Harunur Rashid ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৩১ এএম says : 0
What made you think like that?
Rislam Commila ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪৬ এএম says : 0
বিশ্বের সবাইকে আওয়ামীলীগ বোকা মনে করেন
Total Reply(0)
Abm Tutul ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪৮ এএম says : 2
সত্যিই যদি যুক্তরাষ্ট্র সেটি করে থাকে তবে এর জন্যে চরম মুল্য দিতে হবে,,, বাংলাদেশ এখন ৭২ এর গনতন্ত্রে ফিরে যাচ্ছে ডিজিটাল গতিতে।
Total Reply(0)
Sheikh Bayzid Hossain ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪৯ এএম says : 4
মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা। এতে আপনি খুশি?
Total Reply(1)
Enamul Chowdhury ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫:১৪ এএম says : 0
দেশে মাদকের অভিযান আর অন্য দেশে অবৈধ সম্পত্তি এক নয়
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ২:১২ এএম says : 0
চীন রাশিয়া ইরান পৃথিবীর অনেক দেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা অভিরাম চলছে।বাংলাদেশের আইন শৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা সংঘটিত অভিযোগ এর এক যুগ পরে।এই নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের সাথে বিশ্বের একক পরাশক্তি আমেরিকার সাথে কি দন্ত হতে পারে???। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা আমেরিকার গনতন্ত্র তাদের দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘুম বিনাবিচার হত‍্যা নানাভাবে বলছে অথ‍্যাৎ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্রের প্রাথমিক প্রদক্ষেপ। ঘটনার কুশীলবরা পর্দার অন্তরালে আছেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যখনই ষড়যন্ত্র হয় তখনই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যাক্তিরা কুটনৈতিক প্রজ্ঞা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে সংকট মোকাবেলা করতে হয় । বাংলাদেশের আইন শৃংখলা বাহিনী বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কি কি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কৈফিয়ত আমেরিকার চায়তে রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব এটিই পকৃত প্রতিবাদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমেরিকা কিভাবে গ্রহণকরে বলা মশকিল। আমেরিকা বসরে ছয়লক্ষ মানুষ ঘুম হয় এটির পরিসংখ্যান কিভাবে পেলেন?? এটি আমেরিকা ইরাকে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ খুন করে দেশের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ফাসি দিয়েছেন ঈদুল আযহার দিনে। ইসরাইল কে দিয়ে ফিলিস্তিনের মানুষ কে পশুর মত হত‍্যা করছে মুসলমানদের প্রথম কেবলা বাইতুল মোকাদ্দেসে বর্বরতা চালাচ্ছে। হাজারো ফিলিস্তিনের মানুষের রক্তে রঞ্জিত দেশটি আমেরিকার মদতে ইসরাইলের জঘন্যতম নির্যাতনে অবরোদ্ধ ফিলিস্তিনের মা বোন শিশুরা ভয়াবহ নিষ্টুর অত‍্যাচার জুলুম পৃথিবীর গনতন্ত্রের কোন শক্তি নাই প্রতিবাদ করার। কারণ আমেরিকার গনতন্ত্র এতই শক্তিশালী ইসরাইলে অত‍্যাধনিক লাখ লাখ সৈন্য বাহিনী বিশালাকার ভয়ংকর অস্ত্র দিয়ে দুই যুগের মতই আফগানিস্তানে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ কে হত‍্যা করে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে গনতন্ত্রের কবর কিভাবে দিতে হয় শিখিয়ে গেছেন। এটি আমেরিকার গনতন্ত্র। ইসরাইল মধ‍্যপ্রার্চে‍র যে কোন দেশে নির্বিঘ্নে নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও আমেরিকা বলেন ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্যে জায়েজ। জাতীয় সংঘে বৃদ্ধঅংগুলি প্রদর্শন করে ইসরাইলের পক্ষে ভেটো প্রদানকারী যুক্তরাষ্ট্রের গনতন্ত্রের নমুনাআমেরিকার গোটা মধ‍্যপ্রার্চের একমাত্র অশান্তি আমেরিকার গনতন্ত্রের বন্ধু একমাত্র শক্তি ইসরাইল জন্যে।পৃথিবীর সবাই আমেরিকার গনতন্ত্রের নিকট পরাজিত হলেও মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর বিচার গজব শুরু চলছে অবিরাম ভাবে প্রতিদিন লাখো লাখ আক্রান্ত হাজারো হাজারমৃত্যু অদৃশ্য ভাইরাসে শিক্ষা হচ্ছে না হবেও না। আরোও নতুন নতুন অদৃশ্য ভাইরাসের নাম শুনছি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগে দেশ জাতির বিরুদ্ধে প্রচার অপপ্রচার দ্রত মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিদিন ইউটিউবের বাজার বা দোকান গুলোতে কি পরিমাণ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইন শৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিশ্রী শব্দ ব‍্যবহার করা হচ্ছে। এটি কোন তন্ত্রের মধ্য পড়ে? দেশে আইন শৃংখলা বাহিনী কতৃক ঘুম খুনের অভিযোগ ছিল আছে আইনের উদ্ধে কেও নয়। অপারেশন ক্লিনহার্টের থেকে শুরু। বাংলাদেশের যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ অভিযান সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অভিযান দূন্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান ভেজাল বিরোধী অভিযান শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান দেশের লক্ষকোটি সাধারন মানুষের মনে এলিট ফোর্জ র‍্যার এখনো মানুষের ভালবাসার নিরাপত্তার নাম। দেশ ও জাতির স্বার্থ বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনীতি স্বার্থে দেশীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের গভীর কারীদের চিহ্নিত করে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশে সব চায়তে বড় প্রযোজন বিরাট দুটি রাজনৈতিক দলের সমঝোতা বুঝাপড়া। এরা ঐক্যবদ্ধ নাই বলে বিভিন্ন দলে দলে বিবক্ত নানান রকম নানান কৌশলে বিভাজনের রাজনীতি হচ্ছে। রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান গুরুত্বপূর্ণ নেতার সন্তানের মৃত্যুর পরে সান্ত্বনা দিতে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে পারে না। এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আজকে আমাদের প্রযোজন ঐক্যবদ্ধ হওয়া বঙ্গবন্ধুর মতই রাজনৈতিক প্রতি পক্ষের খবরাখবর নিতেন বিপদ আপদে। বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনীতি বিশালাকার রিজার্ভ শক্তিশালী বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রগতির বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রদানের ভীশনারী লিডারশিপের আন্তর্জাতিক শক্রদের ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা? রাষ্ট্র কে গভীর ভাবে দায়িত্বশীলতার মাঝেই মোকাবেলা করতে হবে। চলবে।
Total Reply(0)
Md Helal Karim ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:৪৮ এএম says : 0
সরকারের প্রত্যেকটি ব্যাখ্যাই অসত্য। মানবাধিকার লঙ্ঘন নিত্যদিনের ঘটনা। বরং মার্কিন সরকার যে নিধেষাজ্ঞা দিয়েছে আমি মনে করি সঠিক সিদ্ধান্ত। এটা আরো আগে দেওয়া দরকার ছিল।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন