খুলনায় বিএনপির আংশিক আহবায়ক কমিটি পুনঃবিবেচনার করার দাবি জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তা না হলে তার সমর্থকদের নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামবেন তিনি। আজ রবিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে সংবাদ সম্মেলনে ব কথা বলেছেন নগর বিএনপি'র সদ্য সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
গত ৯ ডিসেম্বর কেন্দ্র ঘোষিত খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি'র আংশিক আহবায়ক কমিটিতে রাখা হয়নি তাকে ও তার অনুসারীদের। কেন্দ্র ঘোষিত আংশিক কমিটিতে তাকে সরিয়ে নগর আহবায়ক করা হয়েছে জেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম মনাকে। এ ছাড়া তরিকুল ইসলাম জহিরকে সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এবং শফিকুল আলম তুহিনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। নেপথ্যে থেকে সাবেক দুই ছাত্রনেতা খুলনায় তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে এ কমিটি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু দাবি করেন, দলের শতকরা ৯০ ভাগ নেতাকর্মী, পাঁচটি থানা, ৩১টি ওয়ার্ডের নেতারা তার সাথে আছেন। দলের সব স্তরের নেতাকর্মী সাথে নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে আন্দোলনের পাশাপাশি কেন্দ্র ঘোষিত আহবায়ক কমিটি পুনর্বিবেচনায় সংগ্রাম করবেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি'র সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মনিরুজ্জাসমান মনি, এড. বজলার রহমান, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, শেখ মুশাররফ হোসেন, আব্দুল জলিল খান কালাম, মীর কায়সেদ আলী, এড. এস আর ফারুক, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, এসএম আরিফুর রহমান মিঠু, আরিফুজ্জামান অপু, মেহেদী হাসান দীপু, সাবেক কাউন্সিলর মোঃ মাহবুব কায়সার ও গিয়াসউদ্দিন বনি, এড. মশিউর রহমান নান্নু ও গোলাম মওলা, আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইউসুফ হারুন মজনু, রবিউল ইসলাম রবি, কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন, নজরুল ইসলাম বাবু, কেএম তরিকুল্লাহ্, শামসুজ্জামান চঞ্চল ও সেখ কামরান হাসানসহ বিভিন্ন থানা এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন