দু’দিনের সাপ্তাহিক ছুটির সাথে বিজয় দিবস নিয়ে টানা তিনদিনের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখী সড়ক, নৌ ও আকাশ পথের কোন যানবাহনের সিট খালি নেই। আরো দুই সপ্তাহ আগেই ঢাকা থেকে ১৫, ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বরের সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। এখনো সড়ক ও নৌপথে ১টি টিকেটের জন্য মানুষ হন্য হয়ে ঘুরছে বিভিন্ন বেসরকারি বাস ও নৌযানের কাউন্টারগুলোতে। তবে এ অবস্থায়ই রাষ্ট্রীয় নৌবাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের (বিআইডব্লিউটিসি) ঢাকা-বরিশাল-মোড়েলগঞ্জ রকেট স্টিমার সার্ভিসটি চলতি সপ্তাহে মাত্র একদিন যাত্রী পরিবহন করছে। আগামী সপ্তাহে তা দু’দিন চলবে বলে সংস্থাটির দায়িত্বশীল সূত্রে জানানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সংস্থাটির নৌযান এমভি বাঙালীর প্রপেলার স্যাফটে গোলযোগের কারণে যাত্রা বাতিল করে বরিশাল থেকেই ঢাকায় ফিরিয়ে নেয়া হয় নৌযাটিকে। তবে গত এক সপ্তাহেও নৌযানটির মেরামত সম্পন্ন হয়নি।
উপরন্তু সংস্থার হাতে থাকা ব্যয়সাশ্রয়ী ‘পিএস লেপচা’ ও ‘পিএস টার্ন’ জাহাজ দুটিও ঢাকা ঘাটে বসিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ নৌযানের অভাবে রাজধানী থেকে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের হাহাকার চলছে। এমনকি আকাশপথেও সরকারি-বেসরকারি ৩টি সংস্থার প্রতিদিন ৪টি ফ্লাইটে বাড়তি ভাড়ায়ও কোন টিকেট মিলছে না। দুটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সে ৩ হাজার ৪শ’ টাকার টিকেট এখন ৯ হাজার টাকায়ও বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। অসহায় যাত্রীরা বার্ষিক পরীক্ষা ও এসএসসি পরীক্ষার পরে স্বজনদের সাথে দেখা করতে তিন দিনের সরকারি ছুটিকে কাজে লাগাতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন।
বেসরকারি নৌযানগুলোতে ঢাকা থেকে ১৪-১৭ ডিসেম্বর এবং দক্ষিণাঞ্চল থেকে ১৮-২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব কেবিনের টিকেট বিক্রি শেষ হয়েছে আরো আগেই। আর বেসরকারি নৌযানগুলো ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগে বর্ধিত যাত্রী ভাড়ার পুরোটাই আদায় করছেন এখন। দক্ষিণাঞ্চলের সাথে ঢাকাসহ দেশের সড়ক যোগাযোগ রক্ষাকারী যানবাহনেও একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও একটি টিকেট নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন